পানি তো নষ্ট হয় না, তাহলে পানির বোতলে মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ লেখা থাকে কেন?

২৯৭৬ পঠিত ... ১৬:২৩, জানুয়ারি ০৪, ২০২১

পচবে না এমন পণ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ লেখাটা কিছুটা অযৌক্তিকই বটে। মাছ, মাংস বা দুগ্ধজাত পণ্যের গায়ে মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ লেখাটা হয়তো ঠিক আছে। কিন্তু খাবার পানির বোতলে মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ লেখাটাকে অনেকের কাছে ‘ননসেন্স’ মনে হতে পারে। পানি, মানে H2O কি দীর্ঘদিন কিংবা আজীবন একই রকম থাকার কথা না?

 

উত্তর হচ্ছে- ‘হ্যাঁ’। কিন্তু এই মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখের সঙ্গে পানির কোনো সম্পর্ক নেই। ১৯৮৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি রাজ্য নতুন এক আইন জারি করে, যার ফলে সেই রাজ্যে বিক্রিত প্রতিটি খাদ্যপণ্যে সর্বোচ্চ দুই বছর বা তার কম মোয়াদোত্তীর্ণ তারিখ লেখা থাকতে হবে। এই আইনের কারণে নিউ জার্সিতে বিক্রিত সব পানির বোতলের গায়ে দুই বছরের মেয়াদ লেখা থাকতো। এমনকি সেখান থেকে অন্যান্য রাজ্যগুলোতেও যেসব পানি রফতানি করা হতো, সেগুলোর গায়েও মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ লেখা থাকতো। সেই থেকে ধীরে ধীরে এটি একটি রীতিতে পরিণত হয়। 

যুক্তরাষ্ট্রের ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) কখনোই খাবার পানির জন্য নির্দিষ্ট কোনো মেয়াদোত্তীর্ণের সময়সীমা বেধে দেয়নি। নিউ জার্সিও এক পর্যায়ে এই আইন বাতিল করে। কিন্তু বহু বছর প্রচলিত থাকার ফলে এটি স্থায়ী রীতিতে পারিণত হয়। বোতলজাত কোম্পানিগুলোও এই রীতি মেনে বোতলের গায়ে এক্সপাইরেশন ডেট লেখা চালু করেছে। 

‘এক্সপায়ার্ড’ পানি শরীরের জন্য ক্ষতিকর না, এটা যেমন ঠিক, তেমনি একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর এ পানি পান না করাই ভালো। পানির বোতলে যে প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয় সেখানে পলিথিন টেরিপথালেট এবং হাই ডেনসিটি পলিথিন ব্যবহার করা হয়। দীর্ঘদিন বোতলে থাকার কারণে তাই পানির স্বাদ কিছুটা নষ্ট হয়ে যায়।

২৯৭৬ পঠিত ... ১৬:২৩, জানুয়ারি ০৪, ২০২১

আরও eআরকি

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

কৌতুক

রম্য

সঙবাদ

স্যাটায়ার


Top