মানুষের শরীরের একটা টেনডেন্সিই হচ্ছে অদ্ভুত অদ্ভুত সব জায়গায় চুল গজানো। এমনকি limbal dermoid নামের একটি টিউমার আছে, যেটি হলে মানুষের চোখের মনিতেও চুল গজাতে পারে।
কিন্তু অনেকেই হয়তো লক্ষ্য করেছেন যে অনেকের চোখের ভ্রু একটার সঙ্গে আরেকটা লাগানো। মানে, কপালের মাঝ বরাবর দুই ভ্রু’র মাঝখানে যে ফাঁকা জায়গাটা থাকে, অনেকের বেলায় সেটি থাকে না। ফলে প্রথমে দেখলে মনে হয় দুটি চোখেই একটিই সংযুক্ত ভ্রু। ইংরেজীতে এটিকে বলে Unibrow আর এর মেডিকেল টার্ম হচ্ছে synophrys.
ওয়াক্সিং, লেজার ট্রিটমেন্ট কিংবা পুরোনো দিনের মতো শেভ করে এই ‘সমস্যা’ সমাধান করা যায়। কিন্তু কৌতুহলী মনে প্রশ্ন জাগতে পারে কেন কিছু মানুষের ইউনিব্রাউ থাকে। আচ্ছা, ব্যাপারটা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ডিএনএ’র সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। ২০১৬ সালে নেচার কমিউনিকেশন্স নামের একটি জার্নালে ৬০০০ মানুষের উপর চালানো একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এই গবেষণায় অংশ নেওয়া সকলেরই একটি নির্দিষ্ট জিন ছিল, যেগুলো তাদের শরীরে চুলের ঘনত্ব, চুল পাকা, কোকড়ানো চুল, ইউনিব্রাউ ইত্যাদির জন্য দায়ি। এই জিনটির নাম PAX3. এই গবেষণা প্রতিবেদনের লেখকেরা উল্লেখ করেছেন যে কোনো নির্দিষ্ট জিনের নির্দিষ্ট কোনো ফিচার যখন আবিস্কার করা সম্ভব হবে, তখন কসমেটিক ইন্ডাস্ট্রি হয়তো সেটি সমাধানে কোনো পণ্য বের করতে পারে।
বিশ্বের একেক জায়গায় ইউনিব্রাউকে একেকভাবে দেখা হয়। যেমন, যুক্তরাষ্ট্রে এটাকে কেউ স্টাইল হিসেবে মনে করেন না। কিন্তু তাজিকিস্তানে আবার ইউনিব্রাউকে সৌন্দর্য্যের অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যেসব নারীদের ইউনিব্রাউ নেই, তারা ‘উসমা’ নামের একটি ফেক ভ্রু ব্যবহার করেন, যাতে দুটো ভ্রুকে সংযুক্ত দেখা যায়।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন