মাছি মারতে গিয়ে ঘর পোড়ালেন এক ফরাসি বৃদ্ধ

৪৩৭ পঠিত ... ১৬:৫১, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২০

মশা কিংবা যেকোনো উড়ন্ত ছোট পোকা-মাকড়কে মারতে অতটা কষ্ট হয় না। কিন্তু মাছিকে ঘায়েল করতে গেলে আমাদেরই কাবু হয়ে যেতে হয়। তার কারণ আর্থ্রোপোডা জাতের এই উড়ন্ত প্রাণী আকারে ছোট হলেও এর বড় বড় চোখ দুটোর মধ্যে দিয়ে তারা এক সেকেন্ডে ২৫০টি ফ্রেম দেখে ফেলে। যেখানে আমরা দেখি মাত্র ৬০টি। অর্থাৎ, আপনি যখন আপনার স্বাভাবিক গতিতে মাছিকে মারার জন্য হাত উঠাচ্ছেন, তখন মাছি তা দেখতে পাচ্ছে খুবই ধীর গতিতে, মানে স্লো-মোশনে, যা তাকে উড়ে যাওয়ার জন্য সময়ও দিচ্ছে বেশি। তাই 'মাছি মারার কেরানি' বলে যতই তাচ্ছিল্য করা হোকনা কেন, বাস্তবে এ কাজ কিন্তু বেশ কঠিন।

ব্রেকিং ব্যাড সিরিজে ওয়াল্টার হোয়াইট এক মাছি মারতে কত কান্ডই না করলেন!

ঠিক যেমন, ফ্রান্সের দোদোঁয়ে-তে এক লোক উড়ন্ত মাছি মারতে যেয়ে নিজের বাড়ি উড়িয়ে ফেলেছেন! ৮০ বছরের এক বৃদ্ধ দিনশেষে বসেছিলেন রাতের খাবার খেতে। আর তখনই শুরু হলো মাছির ভোঁ ভোঁ। বিরক্ত হয়ে তিনি বের করে আনলেন মশা-মাছি মারার ইলেক্ট্রিক ব্যাট। কিন্তু বৃদ্ধ তো আর জানতেন না যে তার রান্নাঘরের গ্যাস সিলিন্ডারটা ছিদ্র হয়ে গেছে। তাই যেই না ইলেক্ট্রিক ব্যাটটা চালু করে মাছির পিছে দৌড়াতে লাগলেন, গ্যাস আর ইলেক্ট্রিক ব্যাট থেকে বের হওয়া স্ফুলিঙ্গ ক্রিয়া-বিক্রিয়া করে ঘটিয়ে ফেললো বিস্ফোরণ! রান্নাঘরসহ ছাদের কিছু অংশ একেবারে উড়ে গেছে। মাছি নিধন অভিযান থেকে বিস্ফোরণের এই ভয়াবহ ঘটনার মধ্যে দিয়ে যাওয়া সেই বৃদ্ধ বিস্ফোরণ এড়িয়ে বের হয়ে আসতে পেরেছেন। হাত একটু পুড়ে যাওয়া ছাড়া তেমন বড় কোনো আঘাত পাননি। কিন্তু মাছিটির কী হয়েছে তা এখনও আমাদের অজানা।

তার ঘরটা বর্তমানে আর বসবাসের যোগ্য নেই। বিবিসি অনলাইন থেকে জানা যায়, নাম না জানা সেই বৃদ্ধের পরিবার বাড়িটি মেরামত করছেন আর তিনি আশ্রয় নিয়েছেন স্থানীয় এক ক্যাম্পসাইটে। মাছি মারা থেকে এমন ভয়াবহ ঘটনার পর কেউ নিশ্চয়ই মাছি মারা নিয়ে আর হেলাফেলা করবে না।

৪৩৭ পঠিত ... ১৬:৫১, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২০

আরও eআরকি

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

কৌতুক

রম্য

সঙবাদ

স্যাটায়ার


Top