জর্জ ফ্লয়েড ও ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার বিষয়ে লেখক-চিন্তাবিদদের মতামত

২৯০ পঠিত ... ১৯:৩০, জুন ০২, ২০২০

মিনিয়াপলিসের পুলিশি হেফাজতে ৪৬ বছর বয়সী জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর, কৃষ্ণাঙ্গদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে চলা পুলিশি ও রাষ্ট্রীয় সহিংসতার বিরুদ্ধে  বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে পুরো আমেরিকা। ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনে ফুসছে আন্দোলনকারীরা। বিশ্বের অনেক দেশ ও শহর সেই আন্দোলনে সংহতি জানাচ্ছেন। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের চলছে সংঘর্ষ। এই বিষয়ে অজস্র সংবাদ মাধ্যম প্রকাশিত হচ্ছে লেখক-চিন্তাবিদ ও সাংবাদিকদের মতামত। eআরকি পাঠকদের জন্যে সেখানে থেকে থাকছে কিছু চুম্বক অংশ। 



১#
পুলিশি সহিংসতার বিরুদ্ধে লাখো কৃষ্ণাঙ্গের ক্ষোভ যদিও সরাসরি কোভিড-১৯ প্যান্ডেমিকের সরাসরি সম্পর্কিত নয়, কোভিড-১৯ মৃত্যুর পরিসংখ্যান থেকে একটা ব্যাপার স্পষ্ট: ভাইরাসের কারণে কৃষ্ণাঙ্গ আর হিস্পানিকদের মৃত্যুর সম্ভাবনা শেতাঙ্গ মার্কিনিদের চেয়ে অনেক বেশি। ফলে মহামারি তাই শ্রেণিবৈষম্যের দুনিয়াবি প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। কেবল বিত্ত আর দারিদ্রের প্রশ্ন নয় এটি, আক্ষরিক অর্থেই জীবন ও মৃত্যুর ব্যাপার, পুলিশি সহিংসতার মোকাবেলা করা যখন একই সাথে করোনাভাইরাস প্যানডেমিকেরও মুখোমুখি হতে হচ্ছে।'  

স্লাভোয় জিজেক
স্লোভেনীয় দার্শনিক ও সমালোচক 

 

২#
কর্তৃত্ববাদীরা যেকোনো সামাজিক বিক্ষোভকে বিরোধী মত দমন বা সামরিক ক্ষমতা চর্চার সুযোগ হিসেবে দেখে। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে, কোন ধরনের ক্ষোভ থেকে মানুষ সহিংস হয়ে ওঠে তা পুলিশি রাষ্ট্র দেখে না। পুলিশি রাষ্ট্র সব দোষ সাধারণ জনগণের ঘাড়ে চাপাতেই ব্যস্ত থাকে। জর্জ ফ্লয়েডের হত্যা ও ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনেও তেমনটাই ঘটছে। 

মার্গারিট এটউড
হ্যান্ডমেইডস টেইলের লেখক 

 

৩#
সবাই যখন করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করছে, আমেরিকান কৃষ্ণাঙ্গদেরকে করোনাভাইরাসের পাশাপাশি রেসিজমের সাথেও যুদ্ধ করতে হচ্ছে। 

ট্রেভর নোয়া
মার্কিন টিভি উপস্থাপক ও কমেডিয়ান 

 

৪#
হোয়াইট সুপ্রিমেসি নিয়ে ভাবলে আমাদের মনে 'শুধু শেতাঙ্গদের জন্য' সাইনবোর্ডের ছবি ভেসে ওঠে। অথচ ভেসে ওঠা উচিত পাইরেটদের পতাকার ছবি। 

টা-নেহিসি কোটস
মার্কিন লেখক 

 

৫#

আপনি ব্ল্যাক হলে ইতিহাস আপনাকে অগ্রাহ্য করেছে। বর্ণবাদী আমেরিকা অগ্রাহ্য করেছে। রাষ্ট্র চায়নি আপনি বুক ভরে নিশ্বাস নেন। কিন্তু আপনার সহযোদ্ধারা আপনাকে অগ্রাহ্য করেনি। আপনার উপর দুঃস্বপ্নের মতো বর্বর রাষ্ট্রীয় সহিংসতায় তারা পাশে ছিলো। কারণ তারাও একই দুঃস্বপ্নের মধ্যেই বাস করতে বাধ্য হয়। 

ক্ষুব্ধ, তারা রাস্তায় নেমেছে, বিক্ষোভ মিছিল করেছে। দ্রোহী কেউ কেউ বাড়িঘরে আগুন দিয়েছে, ছিনিয়ে নিয়েছে জিনিসপত্র, রাষ্ট্র যেগুলোকে রক্ষা করে এসেছে, আপনার জীবনের বদলে। আর তখনই তারা আমেরিকার লাউডস্পিকার শুনলো, 'লুট শুরু হলে গুলি শুরু হবে।'

বর্ণবাদ নতুন ধরণের ক্ষমতা তৈরি করে: শ্রেণিবিন্যস্ত করা বা বিচার করার ক্ষমতা, উচু-নিচু ভেদাভেদ এবং অন্তর্ভুক্তি ও ক্ষমতাচ্যুত করার ক্ষমতা। বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াই মানে তাই এই ক্ষমতাসম্পর্কের বিরুদ্ধেও লড়াই। 

ইতিহাস ভবিষ্যতের রাজপথ থেকে ডাকছে। কী সিদ্ধান্ত নেব আমরা৷ কেমন পৃথিবী আমরা তৈরি করবো? আমরা কেমন হবো? 

অপশন মাত্র দুটি: রেসিস্ট অথবা এন্টিরেসিস্ট। 

ইব্রাম এক্স. কেন্ডি
মার্কিন ইতিহাসবিদ, 'হাউ-টু বি এ্যান এন্টাই-রেসিস্ট' বইয়ের লেখক

২৯০ পঠিত ... ১৯:৩০, জুন ০২, ২০২০

আরও eআরকি

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

কৌতুক

রম্য

সঙবাদ

স্যাটায়ার


Top