আমেরিকার প্রেসিডেন্ট মানেই আলোচনার বিষয়। পত্রিকার আন্তর্জাতিক পাতার অর্ধেক জুড়ে থাকেন তাঁরা। অনেক হাস্যরসের জন্ম দেন তাঁরা। যদিও হাস্যরস সৃষ্টিতে আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্টের চেয়ে বেশি অবদান রাখতে পারেননি কেউই…! সে যাই হোক, দেখে নিন ‘আমেরিকার ফানিয়েস্ট প্রেসিডেন্ট’ ট্রাম্পের পূর্বসূরীদের ব্যাপারে কিছু মজার তথ্য। নেট ঘেটে বের করেছেন আমেরিকার eআরকি বিষয়ক উপদেষ্টা...
থমাস জেফারসন
থমাস জেফারসন জনসম্মুখে বক্তৃতা দিতে এতো অপছন্দ করতেন যে, দুই মেয়াদে মাত্র দুইবার বক্তৃতা করেছেন। শুধু তাই নয়। জাতির উদ্দেশে তিনি নিজে ভাষণ দিতেন না। লিখে দিতেন। পড়তো অন্য কেউ!
জেমস মেডিসন
তিনি ছিলেন আমেরিকার সবচেয়ে বেঁটে প্রেসিডেন্ট। ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি উচ্চতার ভদ্রলোকের ওজন ছিলো মাত্র ৪৫ কেজি।
এন্ড্রু জ্যাকসন
গুজব ছিলো যে, এন্ড্রু জ্যাকসন তাঁর পোষা তোতাপাখিটাকে অভিশাপ দিতে শিখিয়েছিলেন। তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সময় তোতাটাকে সরিয়ে নেওয়া হয়। কারণ তোতাটিরভঅভিশাপ দেওয়া থামাচ্ছিল না!
উইলিয়াম হেনরি হ্যারিসন
এক শীতের দিনে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ উদ্বোধনী বক্তৃতা দেন। এরপরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং ৩৩ দিনের মাথায় মারা যান!
জন টেইলর
উইলিয়াম হেনরি হ্যারিসন মারা যাওয়ার পর ভাইস প্রেসিডেন্ট জন টেইলর প্রেসিডেন্ট হন। কিন্তু কেউ তাঁকে পছন্দ করতো না। প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন তাকে তাঁর নিজের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল, তাঁর পুরো মন্ত্রিসভা পদত্যাগ করেছিল এবং তিনিই প্রথম প্রেসিডেন্ট যিনি অভিশংসনের মুখোমুখি হয়েছিলেন।
মিলিয়ার্ড ফিলমোর
ফিলমোর তাঁর স্কুল শিক্ষিকাকে বিয়ে করেছিলেন!
এন্ড্রু জনসন
স্বামী মারা যাওয়ার পর জনসনের মা জনসন এবং তাঁর ভাইকে দর্জির কাছে কাজ শিখতে পাঠান। দুই বছর পর তাঁরা পালিয়ে আসে। নিজের অর্জিত এই জ্ঞান তিনি কাজে লাগান প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর। তাঁর সব প্রেসিডেন্ট স্যুট তিনি নিজেই সেলাই করেছেন।
জেমস এ. গারফিল্ড
তিনি একই সাথে এক হাতে গ্রীক এবং অন্য হাতে ল্যাটিন লিখতে পারতেন।
বেঞ্জামিন হ্যারিসন
তাঁর সময়ে হোয়াইট হাউজে প্রথম বিদ্যুৎ আসে। বিদ্যুৎ শক খেয়ে এতটাই ভয় পেয়েছিলেন যে, তিনি সুইচ স্পর্শ করতেন না এবং বাতি জ্বালিয়ে ঘুমাতেন।
উইলিয়াম ম্যাককিনলি
ম্যাককিনলি কার্নেশন ফুলকে তাঁর সৌভাগ্যের প্রতীক মনে করতেন। সর্বত্র পরতেন। ১৯০১ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি একটি ছোট্ট মেয়েকে তাঁর ব্যাগ থেকে কার্নেশন দিয়েছিলেন। এর অল্পক্ষণ পরে একজন ঘাতক তাকে গুলি করে হত্যা করে! পরের সপ্তাহে তিনি মারা যান।
ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্ট
তিনি 'আনলাকি থার্টিন'-এ বিশ্বাসী ছিলেন। একসাথে ১৩ জনকে নিয়ে ডিনার করতেন না। এমনকি মাসের ১৩ তারিখে দূরের কোনো যাত্রায় বের হতেন না!
জিমি কার্টার
একদা 'প্লেবয়' ম্যাগাজিনে তাঁকে দেখা গিয়েছিল!
রোন্যাল্ড রিগ্যান
সিদ্ধান্ত এবং বড় ইভেন্টগুলির সময়সূচী নির্ধারণের আগে তিনি একজন জ্যোতিষীর সাথে নিয়মিত পরামর্শ করতেন।
জর্জ ডব্লিউ বুশ
স্কুলে পড়ার সময় তিনি ছিলেন হাই স্কুলের প্রধান চিয়ারলিডার!
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন