আমি কোন বীর নই, মরার জন্য আমি প্রস্তুত নই: নিউইয়র্কের আইসিইউ নার্সের করোনা-অভিজ্ঞতা

৯৬২ পঠিত ... ২০:৩১, এপ্রিল ১৯, ২০২০

গতকাল চিন্তা করছিলাম একটা উইল করার।

আমার বয়স ২৪ বছর। নিউইয়র্ক শহরে একজন আইসিইউ নার্স হিসেবে কাজ করি। শরীর স্বাস্থ্য এখনও অটুট, কাজেই উইল করার কোন কারণ ছিলো না। কিন্তু গতকাল থেকে মনে হচ্ছে বেঁচে থাকার বদলে আমার মরার সম্ভাবনাই বেশি।  

২০১৮ সালে যখন নার্সিং প্রোগ্রাম থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করি, ধারণাও ছিলো না দুই বছরের মাঝেই কী হতে যাচ্ছে। বিশ্বাস ছিলো মৃত্যুকে কাছ থেকে দেখার শক্তি আমি রাখি। প্রথম এক বছরে আইসিইউতে প্রচুর মৃত্যু আমি দেখেছিও। কিন্তু শেষ দুই সপ্তাহে যত মরণ দেখলাম, বেশিরভাগ মানুষ তাদের সারা জীবন মিলিয়েও এতো মৃত্যু দেখেনি! এখন মনে হচ্ছে মৃত্যুর এমন রূপ দেখার শক্তি আমার ছিলো না, কখনই ছিলো না!

মৃত্যুর এই গন্ধ যেন সম্পূর্ণ ভিন্ন, এই মিছিলে আমিও শামিল হতে পারি যে কোন দিন।  

গেলো সপ্তাহে এক মেয়ে ফোন করেছিলো তার মায়ের অবস্থা জানতে। তার ধারণা মা এখন সুস্থ আছে। আমি বুঝতে পারলাম, মায়ের সত্যিকারের অবস্থা সম্পর্কে কেউ তাকে কিছু জানায়নি। এই সময়ে তো পরিবারের কারো হাসপাতালে আসারও অনুমতি নেই। কাজেই, ইচ্ছে না করলেও এই দায়িত্ব আমাকেই নিতে হলো। ঠাণ্ডা গলায় বললাম- এই মুহূর্তে চার নাম্বার পাম্পটা বন্ধ করে দিলে আপনার মা মারা যাবেন।

এইসব ব্যাপারে সত্যটাই বলা উচিৎ, খামাখা মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে কী লাভ? খুব স্বাভাবিকভাবেই ফোনের ওপাশ থেকে কান্নার আওয়াজ ভেসে আসতে লাগলো। 

ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাওয়া হৃৎস্পন্দনের শব্দ কেমন আমি জানি। কিন্তু ফোনের ওপাশে একটা হৃদয়ের থমকে যাওয়ার শব্দ আমি সেদিনই প্রথম শুনলাম।

হুট করে কী যেন হলো আমার। রুমে ঢোকার আগে যা যা লাগে, সবকিছু হাতে নিলাম- ওষুধপত্র, টিউব, নিডল, সিরিঞ্জ। আশা করি ফোনের ঐপাশে ফোঁপানির জন্য কোন কিছু নিতে ভুল করিনি। .

যখনই কেউ কোভিড-১৯ রোগির রুমে ঢুকছে, তার মানে করোনাকেই সে কাছ থেকে আলিঙ্গন করবে। তাই নিজেকেই বললাম- যদি ভুলে কোন প্রটেকশান কিট না পরি, ঐভাবে রুমে ঢুকতে যাওয়াটা হবে মরনের সামিল। ঐ হলঘরের মাঝে দাঁড়িয়ে মানবিক হতে অসহায় লাগছিলো, বুঝতে পারছিলাম না ফোনে কী বলা উচিৎ। হয়তো মা-মেয়ের মাঝে এটাই হবে শেষ কথা, হয়তো না।  মাস্কটা এক কানে ঝুলছে, মাল্টিলেয়ারের পিপিইর ভেতর ঘামছে শরীর।

সামর্থ্য না থাকলে ক্ষমা কীভাবে চাইতে হয়? কেউ কি জানেন ভালো করে?     

আমাকে বলা হয়েছিলো আমি ফ্রন্টলাইনার। কিন্তু, সত্যটা হলো আমি আসলে শেষ আশ্রয়। আমি আসলে সেই কয়েকটা মানুষের একজন, যাকে একজন মুমুর্ষু প্রাণপনে দেখতে চাইবে। কারণ আমাদের পরে আছে কেবল মৃত্যু! মহামারী ছাড়া আমার এই আইসিইউতে প্রতি দুইজন রোগীর জন্য থাকে একজন করে নার্স। এখনকার অবস্থায় নার্সপ্রতি রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিন। অন্যান্য আইসিইউ আর হাসপাতালে এই অনুপাত আরও বেশি। এইদিক দিয়ে নিজেকে সৌভাগ্যবানই বলতে পারি।  

কিন্তু সৌভাগ্য আর বলি কীভাবে? দিনগুলো যেন আমাকে দুমড়ে মুচড়ে ফেলছে।

আইসিইউ নার্সদের বহুবিধ সূক্ষ্ম কাজের জন্য প্রশিক্ষিত করে তোলা হয়। আমরা ওষুধ দেই, টাইট্রেট করি, ঘুম পাড়াই, অচেতন করি, ইনটিউবেট করি। রোগীর জামাকাপড় ধুয়ে দেয়া, কাপড় পরানো, খাওয়ানো থেকে শুরু করে যাবতীয় যাবতীয় স্বাচ্ছন্দের দিকে দৃষ্টি রাখতে হয়। মানুষ আমাকে বীরের সম্মান দেয়, কেউ কেউ তো মহাবীর-টীরও বলে ফেলে, এমনকি ফেরেশতা ডাকও শুনেছি- আমি সাহসী আর উদ্যমী বলে। অনেক রোগী স্বীকার করে আমার সেবা পেয়েছে বলে তারা ভাগ্যবান। কিন্তু নিজের কাছে তার উল্টোটাই মনে হয়। ইদানিং আরও বেশি বেশি করে মনে হচ্ছে। নিজেকে তখনই ভাগ্যবান মনে হয়- যখন কারও শুকনো ঠোঁটে একটু লিপজেল মাখিয়ে দেবার সুযোগ পাই। কারণ তার প্রিয়জনরা প্রথমবারের মতো তাকে হাসপাতালে ভর্তি হবার পর দেখার সুযোগ পাবে। হয়তো শেষবারের মতোও! সেটাও কাঁচের দেয়ালের ওপাশ থেকে। তখন রোগীর মুখে পরানো টিউব, নাকে নল, হয়তো সামান্য রক্তও লেগে রয়েছে সেখানে। এই অবস্থা দেখে আমারই কণ্ঠরোধ হয়ে আসতে চায়, তাঁদের অবস্থা কী দাঁড়াবে? ঐ সময়টায় নিজেকে খুবই নগন্য মনে হয়। নিজের কাছেই নিজেকে নিয়ে লজ্জা লাগে।

কিন্তু ঐ সময় অসহায়, শক্তিহীন হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া আমার কিছু করার নেই। আমাকে দাঁড়াতে হয়; কারণ রোগীর সাথে তার পরিবারের তখন আমিই একমাত্র সংযোগ মাধ্যম!

মাঝেমধ্যে আমি এতোই ব্যস্ত থাকি যে রোগি তার নিজের পুরীষের ওপর শুয়ে থাকলেও তাকে পরিষ্কার করতে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি সময় লাগে। করার কিছু নেই। ঠিক তখনই পাশের ঘরের রোগীর হার্টবিট শূন্যের কোঠায় নেমে গেছে যে!   

এমনকি হাসপাতাল থেকে বের হবার সময়ও এই অভিশাপ আমাকে ছাড়ে না। করোনাভাইরাস আমাকে অনুসরন করে। সেটা মেটাফোরিক্যালি করে, আক্ষরিকভাবেও করে! আমার জুতার শুকতলিতে, কাপড়ে মনে হয় এগুলো কিলবিল করে। ঘরের দরজার হাতলে মোচড় দেয়ার আগে আমি হাত খুব ভালোভাবে ঘষে নেই, পা দিয়ে পাপোষ দুমড়ে মুচড়ে ফেলি। এই সময় মনে হয় আমি ভাইরাসটাকেই দলামোচড়া করছি। কিন্তু খুব কাছ থেকে সাইরেনের আওয়াজ মনে করিয়ে দেয় সে যায়নি, আছে! আমার খুব কাছেই সে ধরেছে তার নতুন শিকার। টেক্সট মেসেজের পিং করে আওয়াজ জানালো, আমার সহকর্মীর বাবা মাত্রই কোভিড-১৯ রোগে নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন। আমার স্তব্ধ এপার্টমেন্টেও যেন ভেন্টিলেটরের শব্দ তাড়িয়ে তাড়িয়ে বেড়ায়!  

এর আগ পর্যন্ত আমার জানা ছিলো না একলা থাকার কষ্ট কতোটা নির্মম, নিস্তব্ধতার তীক্ষ্ণ শব্দ কান কিভাবে ফালাফালা করে ফেলতে পারে।

ছুটির দিনে আমার সময় কাটে বিভিন্ন আর্টিকেল, নতুন বের হওয়া স্টাডি, নতুন ট্রায়ালের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে পড়াশোনা করে। তথ্যের কোন অভাব নেই। নতুন নতুন সম্ভাবনায় আমি চমকৃত হই। কিন্তু এখনও, কাজের যাবার সময় হাঁটতে হাঁটতে মনে হয় নতুন এই রোগটা নিয়ে আমি কিছুই জানি না। এখনও কাজ থেকে ফেরার সময় মনে হয়, আমি ব্যর্থ! আরো অনেক কিছু করার ছিলো! আরও অনেক অনেক কিছু করার বাকি আছে!

এইজন্যই আমি সবাইকে বলি, আমাকে বীর বলো না। আমি এর যোগ্য না। আমার কাছে এর কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই। আমি আদপেই ব্যর্থ। পুরোপুরি ব্যর্থ।

কাফনের মতো অপরাধবোধে আমি আষ্ঠেপৃষ্ঠে মোড়ানো। প্রতিদিন বারো ঘণ্টার মতো দৌড়াদৌড়িতে থাকতে হয় আমাকে। ব্যস্ত শিফটে আরও বেশি। ইদানিং এমন দাঁড়িয়েছে যে, খাবার সময় পেলে বা শিফটে একবারের জন্য ওয়াশরুমে যাবার সময় পেলেও নিজেকে ভাগ্যবান মনে হয়। মাঝেমধ্যে ভাগ্য জিনিসটা কী আমি গুলিয়ে ফেলি। তাড়াহুড়া না করে আরাম করে একটাবেলা ভালো করে খেতে পারাই কি ভাগ্য? নাকি এই মুহূর্তে আইসিইউ বেডে না শুয়ে থাকাটাই ভাগ্য?     

আমি চাই মানুষ জানুক, এটা কঠিনের চেয়েও বেশি কঠিন। স্বাস্থ্যসেবার যে জগতে আমি ঢুকবো বলে চিন্তা করেছিলাম, এটা কখনই সেই জগত না। শুধু আমি না, আমাদের কারোর চিন্তার সাথেই এটা মেলে না। পড়াশুনো করেছিলাম মানুষের প্রাণ বাঁচানো শিখতে। অসুস্থের সেবা করতে, মরনাপন্নের সাথে মিলে মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ করবো জেনেই এই জগতে পা রেখেছি। হ্যাঁ, তাতে আমার স্বাস্থ্যও ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে- এটাও জানতাম। কিন্তু আমার এখনকার এই চিন্তা নিয়ে হাসাহাসি করবেন না দয়া করে। মৃত্যু পরোয়ানায় কোন দাসখত দিয়ে আমি কাজে নামিনি। আমি চাই দেশ জানুক, আজকে যদি এই আইসিইউ বেডে আমার মৃত্যু হয়- সেটা হবে আমার রোগ নিরোধী স্যুট যথেষ্ট কার্যকরী ছিলো না দেখে, আমার পিপিই প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট ছিলো না দেখে। আমি চাই দেশবাসী জানুক, আমেরিকা ব্যর্থ হয়েছে। বিশেষ করে যারা বলতো- প্রয়োজনীয় সবকিছুই আমাদের হাতে আছে। আমরা দাবী করি যে আমরাই সেরা, মুক্ত, পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী দেশ। আমাদের স্বাধীনতার সাথে অন্য কারও তুলনাই চলে না। তাহলে কেন শিফট শেষ করার পর আমাকে সেই এন-৯৫ মাস্কটাই খুলে রাখতে হয়, যেটা আমি টানা বারো ঘণ্টা পরেছিলাম? এই মাস্ক পরেই আমাকে শিফটের পুরোটা সময় টেনে টেনে শ্বাস নিতে হয়, যে শ্বাসে মিশে থাকে মাত্রই শেষ নিঃশ্বাস ফেলা মানুষের দীর্ঘশ্বাস, অনেক মানুষের টেনে টেনে ফেলা কষ্টের শ্বাস। আর সেই দীর্ঘ বারো ঘণ্টার পর, আমি খোলা অবস্থায় থাকা ঘাড়টা মুছে ফেলি, আর বিশ্বাস করি- এই জীর্ন পাতলা হলুদ গাউন আমাকে করোনার আক্রমণ থেকে বাঁচাচ্ছে। আমার চামড়া, আমার শ্বাসনালী এই ভাইরাসের হাত থেকে পুরোপুরি মুক্ত!

যতক্ষণ পর্যন্ত না এটার উপযুক্ত চিকিৎসা বের হয়, মানুষ অকাতরে মরতেই থাকবে। ঘরবন্দী থাকার কারণে যদিও পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেয়া গেছে, কিন্তু প্রত্যেকটা মানুষ তারপরও ঝুঁকিতে রয়েছে। এমনকি এই সময়ে সংক্রমণের চূড়ায় আছি ধরে নিলেও, এরপরে কিন্তু পতনের দিকে যেতে যেতেও বহু মানুষ মরবে। প্রকোপ থেমে এলেও মানুষের মৃত্যুর মিছিল একেবারে ঠেকানো সম্ভব হবে না। আরও বহু বহুদিন ধরে আইসিইউ থাকবে একেবারে গমগমে। ইমার্জেন্সি ডিপার্টমেন্টে চলবে নজিরবিহীন ব্যস্ততা। আমি সবাইকে বলতে চাই, আমেরিকায় স্বাস্থ্যব্যবস্থা একেবারে দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে। আমাদের প্রস্তুতি কখনই যথেষ্ট ছিলো না। নিউইয়র্ক একেবারে দগদগে ক্ষতের মতো এর প্রমাণ।  

আমার বিশ্বাস এই মহামারী একেবারে চোখে আঙুল দিয়ে আমাদের সিস্টেমের ব্যর্থতা দেখিয়ে দিচ্ছে।

যখন কলেজে ছিলাম, মনে করতাম বাবা-মা’কে নিয়ম করেই আমি ফোন-টোন করি। যদিও সত্যিকার অর্থে তাদের ফোন করা হতো সপ্তাহে একবার বড়জোর। পরীক্ষা-টরীক্ষা থাকলে সেটা দাঁড়াতো গিয়ে মাসে একবার।  ওরা ছিলো ফিলিপিন্সের ইমিগ্র্যান্ট। শিকাগোতে নার্স হিসেবে চাকরি করতো দুজনেই। এমনকি আমার পড়াশোনার প্রচণ্ড চাপ আর তাদের বেকায়দা রকমের শিফটিঙের সময়ের কারণে যোগাযোগ করতামও না অনেক সময়। কিন্তু কী আশ্চর্য, ভয় কীভাবে সব পালটে দেয়! রোগীদের মেডিক্যাল রিপোর্ট পড়তে পড়তে, তাদের মাঝে যেন ভেসে উঠতে লাগলো আমার মা-বাবারই মুখ। তাদের আর্ত কণ্ঠস্বরে যেনে বেজে উঠছে আমার মা-বাবার কণ্ঠ! ফোনে ভেসে আসতো তাদের সন্তানদের কান্না, খোদার কাছে প্রার্থনা। আসলেই তাদের সন্তানদের কণ্ঠ এটা? নাকি আমার নিজেরই কণ্ঠ? আমি জানি না!   

জানি না আমার বাবা-মা এটা জানে কিনা প্রতিরাতে কেন তাদের পাগলের মতো ফোন দেই এখন।

এখনও বয়সে আমি তরুণ। আর সবার মতো আমিও স্বপ্ন দেখি আকাশে ডানা মেলবার। বিশ্বাস করি যে সামনে একটা দীর্ঘ জীবন পড়ে আছে আমার। আমি বাড়ি ফিরে বাবা-মায়ের বুকে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাই। তাদের রান্না করা খাবার মুখে তুলতে চাই। আমার চার বছরের ভাগ্নেটাকে দেখতে চাই। বিয়ে করে একটা সুখের নীড় বাঁধতে চাই। আমিও স্বপ্ন দেখি ছোট্ট ছোট্ট বাবুসোনার, যাদের নিয়ে তাদের দাদা-দাদী দুষ্টুমিতে মেতে উঠবে, ঠিক যেমনটা আমি পেয়েছিলাম!  

কাজেই, আমি চাই না আপনারা আমাকে সমবেদনা জানান, বীরের মর্যাদা দেন। আমি শহীদের খেতাব চাই না। আমি চাই, এইসব দুঃস্বপ্ন যদি কোনদিন কেটে যায়- আপনি কখনই যেন না ভোলেন কোয়ারেন্টিনের এই দুঃসহ দিনগুলোর কথা, মর্গে বরফ দেয়া ট্রাকের সারির কথা, টয়লেট পেপার ঘাটতির বিভীষিকার কথা,  মাস্কের অপ্রতুলতার কথা। কেউ কাছাকাছি হাঁচি বা কাশি দিলে আপনার ভেতর কী পরিমাণ ভয় কাজ করতো, সেটা আপনি যেন কখনই ভুলে না যান।

আমি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীর জন্য প্রতিদিন সন্ধ্যা সাতটায় একটু হাততালি দিন। উদ্দেশ্য আর কিছুই না, মহামারীটাকে একটু সহনীয় করা। স্বীকার করতে কোন বাধা নেই- আপনাদের উৎসাহই আমাদের এগিয়ে যাবার জ্বালানী। যদিও সত্য হলো, উৎসাহ বা পিঠ চাপড়ানি এই ভয়াবহতা কমাবে না। এই মুহূর্তে শুধু প্রার্থনা- এইসব দুঃস্বপ্ন শেষ হবার পর সবকিছু ঢেলে সাজাতে হবে। এই দিন যেন আর কখনও আমাদের মাঝে ফিরে না আসে।

[কে পি মেনডোজার ফেসবুক পোস্ট থেকে অনুদিত]

৯৬২ পঠিত ... ২০:৩১, এপ্রিল ১৯, ২০২০

আরও eআরকি

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

কৌতুক

রম্য

সঙবাদ

স্যাটায়ার


Top