নির্বাচনে জেতার আগে কিংবা জেতার পর, মার্কিন প্রেসিডন্টের 'মেক্সিকো ওয়াল' বানানোর কত তোড়জোড়! মেক্সিকানদেরকে ঢুকতেই দেবেন না আমেরিকায়, তারাই তো সব ল্যাটা বাঁধায়! করোনাভাইরাস বদলে দিয়েছে সব হিসাবনিকাশ, সীমান্তের হিসাব তো বদলেছে ভালোমতোই। দেখুন কী কান্ড, আমেরিকা থেকে ভ্রমণকারী মানুষজন করোনাভাইরাস ছড়িয়ে দিতে পারে, এমন আশংকায় মেক্সিকান বিক্ষোভকারীরাই আমেরিকার সাথে তাদের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা রাজ্যের দক্ষিণে সোনোরার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তারা বুধবার কয়েক ঘন্টা চেকপয়েন্ট বন্ধ করার পর দ্বিতীয় দিনের জন্য মেক্সিকোয় যান চলাচল বন্ধ করে দেবেন। তারা মুখে মাস্ক পরে আমেরিকানদের 'বাড়িতে' থাকতে বলছেন।
এমনটা অবশ্য মেক্সিকানরা বলতেই পারেন। মেক্সিকোতে কোভিড-১৯ আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৫০০, অন্যদিকে আমেরিকায় সেটা ৬৫০০০ ছাড়িয়ে গেছে।
সীমান্তটি 'অপরিহার্য' ব্যবসা-বাণিজ্য বাদে অন্য সব কিছুর জন্য বন্ধ থাকার কথা রয়েছে, তবে বিক্ষোভকারীরা বলছেন যে এখানে সেই নিয়ম কার্যকর খুব কম হচ্ছে। আর কর্তৃপক্ষ বর্ডারে ভাইরাস টেস্টের ব্যবস্থাও করেনি।
এই অবরোধের নেতৃত্বে ছিলেন 'সোনারানস ফর হেলথ অ্যান্ড লাইফ' গ্রুপের সদস্যরা, যাদের দাবি, আমেরিকা থেকে মেক্সিকোতে যাতায়াত করে এমন যেকোনো মানুষকে মেডিকেল টেস্ট করতে হবে।
গ্রুপের সদস্য হোসে লুইস হার্নান্দেজ আরিজোনা প্রজাতন্ত্রকে বলেছেন, 'এই মহামারি মোকাবেলায় ফেডারেল সরকার কর্তৃক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কোন স্ক্রিনিং নেই। এ কারণেই আমরা নওগালেসে রয়েছি। বিষয়টি আমরা মেক্সিকান রাষ্ট্রপতি আন্দ্রেস ম্যানুয়েল ল্যাপেজের দৃষ্টিগোচর করার জন্য এই পদক্ষেপ নিয়েছি।'
আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো মহামারি সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া বিষয়ে মেক্সিকান রাষ্ট্রপতিও সমালোচিত হয়েছেন।
এই দলটি ভ্রমণ বা চিকিত্সার কারণে সমস্ত মার্কিন বা মেক্সিকান নাগরিকের উপর বর্ডার ক্রস করার উপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার আহ্বান জানিয়েছে, এমনকি যারা প্রতিদিন স্কুলে যায় তাদের ও নিষেধ করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত মেক্সিকানদেরও টেস্ট করানোর জন্যও দাবি জানিয়েছে তারা।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন