মেসিডোনিয়ার এক স্বচ্ছল আলবেনীয় পরিবারে অ্যাগনিস গঞ্জা বোজাঝিউ জন্মেছিলেন ১৯১০ সালের ২৬ আগস্ট। আট বছর বয়সে বাবা মারা গেলেও, আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্যে তেমন কোন ঘাটতি হয় নি। শৈশবেই আগ্রহী হয়ে পড়লেন খ্রিস্টান মিশনারি কর্মকাণ্ডে। সেই আগ্রহেই ১৮ বছর বয়সে মা ও বোনকে ছেড়ে খ্রিস্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমালেন আয়ারল্যান্ডে। আর ১৯ বছর বয়সে চলে এলেন তৎকালীন ব্রিটিশ ইন্ডিয়ার পাহাড়ি অঞ্চল দার্জিলিং-এ।
বছর দুয়েক পর যখন সন্ন্যাসিনী হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেন তখন নিজের নাম বদলে নিলেন তেরেসা-য়, দুই পূর্ববর্তী সেন্টের নাম অনুসারে। এরপর দার্জিলিং থেকে কলকাতার এক স্বনামধন্য মিশনারি গার্লস স্কুলে যোগ দিলেন শিক্ষিকা হিসেবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের নৃশংসতা ও এর পরবর্তী দুর্ভিক্ষে দরিদ্র মানুষের ভয়ংকর দুর্দশার চিত্র দেখে সিদ্ধান্ত নিলেন বাকি জীবনটা তাদের জন্যই দান করার।
এরপর বেঁচে ছিলেন আরও অর্ধশতক। কলকাতার ‘সিস্টার তেরেসা’ একসময় হয়ে উঠলেন পুরো বিশ্বের কাছে ‘মাদার তেরেসা’। ১৯৯৭ সালে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত কাজ করে গেছেন গরীব-দুঃখী মানুষের জন্য, হয়ে উঠেছেন এক অনন্য অনুপ্রেরণার নাম। ১৯৭৯ সালে জিতেছেন নোবেল শান্তি পুরস্কারও। আজীবন ভালোবাসা-স্নেহ-মমতা বিলিয়ে যাওয়া এই মানুষটি সবাইকেই বলে গেছেন ভালোবাসার কথা। এই পরম শ্রদ্ধেয় মানুষটির তেমনই কিছু বাণী আজ থাকছে eআরকির পাঠকদের জন্য।
১#
২#
আমাদের সবার পক্ষে মহৎ কাজ করা সম্ভব হয় না। তবে চাইলেই মহৎ ভালোবাসা দিয়ে আমরা ছোট ছোট কাজ করতে পারি।
৩#
সবচেয়ে নির্মম দীনতা হলো একাকীত্ব এবং ভালোবাসা না পাওয়ার অনুভূতি।
৪#
৫#
শান্তির শুরু হয় একটা হাসি দিয়ে…
৬#
৭#
পেটের ক্ষুধার চাইতেও ভালোবাসার ক্ষুধা নিবারণ করা অনেক কঠিন।
৮#
আমি এমন কিছু করতে পারি যা আপনি পারেন না, আবার আপনিও এমন অনেক কিছু করতে পারেন যা আমি কখনো করতে পারব না। তবে একসাথে মিলে আমরা চাইলে অসাধারণ কিছু করে ফেলতে পারি।
৯#
১০#
ভালোবাসা ছাড়া কোন কাজ করা হলো দাসত্ব।
১১#
কখনোই সংখ্যা নিয়ে দুশ্চিন্তা করবেন না। প্রতিবার একজন মানুষকে সাহায্য করুন এবং সবসময় পাশের মানুষটা দিয়েই শুরু করুন।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন