ধূমপান কিংবা অন্য যেকোনো কারণেই যারা লাইটার ব্যবহার করেন তারা প্রায় সকলেই একটি অভিজ্ঞতার সাথে পরিচিত। সেটি হচ্ছে, একটি লাইটারের শেষ আপনি কখনো দেখেন না। কীভাবে কীভাবে যেন এই ছোট্ট বস্তুটি হারিয়ে যায় কালের গহ্বরে। তবে লাইটার যাতে অকালে হারিয়ে না যায়, সেজন্য জাসিয়া শামীম বেছে নিয়েছেন এক অনন্য উপায়। লাইটারের গায়ে তিনি সেঁটে নিয়েছেন নিজের ডিজাইন, যার নাম দিয়েছেন ‘এলএসডি লাইটার’।
শুরুতে একটি লাইটারে হাতে এঁকেই ডিজাইন করলেন জাসিয়া। এরপর আরও কিছু লাইটারে ডিজিটাল প্রিন্ট করে বসিয়ে দিলেন বেশ কিছু ডিজাইন। সহজাতভাবেই এমন ব্যতিক্রমী সব লাইটার দেখে বন্ধু ও কলিগরা আগ্রহী হয়ে উঠলেন। তাদের অনেকেই নিজেদের জন্যও চাইলেন অভিনব লাইটার। ব্যস, কয়েক দিনের মাঝেই জাসিয়া ডিজাইন করতে লাগলেন একের পর এক লাইটার। যার বেশ কিছু তিনি বিক্রিও করছেন।
নিজের পছন্দের ডিজাইন করেছেন কিছু লাইটার আবার কোন কোনটা বন্ধু বা ক্রেতাদের পছন্দেও। পিংক ফ্লয়েড, বিটলস, মেটালিকা, লিংকিন পার্কের মতো জনপ্রিয় ব্যান্ডের লোগো বা অ্যালবামের ছবি যেমন ব্যবহার করেছেন, তেমনি কোন কোন লাইটারে খুঁজে পাওয়া যাবে ফ্রেন্ডসের মতো জনপ্রিয় টিভি সিরিজও। লাইটারগুলোর সাধারণ একটা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সবগুলো ছবিই প্রচণ্ড কালারফুল। ফলে, লাইটারের কোন প্রয়োজন নেই এমনও কেউ কেউ স্রেফ সংগ্রহে রাখার জন্যেও নিচ্ছেন এগুলো।
লাইটারকে রাঙিয়ে দেওয়া জাসিয়া স্নাতক করছেন ইংরেজি সাহিত্যে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে। পাশাপাশি রেডিও এবিসি-তে জুনিয়র প্রোডিউসার হিসেবে কাজ করছেন, সাথে করছেন একটি অনুষ্ঠানের উপস্থাপনাও। এছাড়া লেখালেখিও করেন। রেডিও এবিসি-র একটি অনুষ্ঠানের জন্য লেখেন হরর গল্পের স্ক্রিপ্ট।
এমনিতে ছোটবেলা থেকেই ক্র্যাফটিং নিয়ে বেশ আগ্রহ জাসিয়ার। তবে কাস্টম লাইটার বানানোর বিষয়টি এখনো শখের পর্যায়েই আছে। জাসিয়া জানিয়েছেন, যতদিন আগ্রহ থাকবে ততদিনই নতুন নতুন ডিজাইনের লাইটার দেখা যাবে। এখনো অন্য কোন কিছু নিয়ে এমন এক্সপেরিমেন্ট করার কোন পরিকল্পনা না থাকলেও, লকেটের ব্যাপারে তার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। জাসিয়ার লাইটারগুলোর ছবি দেখতে পারবেন এখানে।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন