ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইট করলেই একটি মাথাব্যথার ওষুধ দেবে রোবট!

৪৫২ পঠিত ... ১৯:১৬, আগস্ট ০৫, ২০১৯

রাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায়ের কর্তাব্যক্তিদের কাজকর্ম কিংবা কথাবার্তা অনেক সময়ই সাধারণ নাগরিকদের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর যদি কোন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর মানুষটি হন ডোনাল্ড ট্রাম্পের মত ব্যক্তি তাহলে অনেকের জন্যই এই মাথাব্যথা ‘ক্রনিক’ হয়ে দেখা দিতে পারে। প্রতিনিয়ত ডোনাল্ড ট্রাম্পের অদ্ভুতুড়ে সব কথাবার্তায় কারো যাতে মাথাব্যথা অসহনীয় পর্যায়ে না চলে যায় সে লক্ষ্যে মার্কিন কোডার পল স্পেলমেন বানিয়েছেন এক চমৎকার উপশম, একটি রোবট। রোবট বলতে এটি একটি মাথা, একেবারে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মত দেখতে। যতবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট টুইটারে একটি করে টুইট করবেন, ততবার স্পেলমেন উদ্ভাবিত রোবটটি একটি করে মাথাব্যথার ওষুধ বের করে দিবে মুখ দিয়ে। 

মার্কিন বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প সরাসরি রাজনীতিতে আসার অনেক আগে থেকেই কমবেশি আলোচনায় ছিলেন। সাধারণত এমন পাগলাটে বিলিনিয়াররা কখনো হুলস্থূল দামের গাড়ি-বাড়ি-ইয়ট কিনে খবরে আসেন, কিংবা কোথাও কোন বেফাঁস কথা বলে হন সমালোচিত। কমেডি শোগুলোর অতিথি হওয়া বা ক্যামিও হয়ে নাটক-সিনেমায় আসার বাইরে ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও সিরিয়াস কিছু করবেন, এমনটা কেউ কখনো ভাবেনি। তবে আচমকা আমেরিকায় গত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে রিপাবলিকান দলের হয়ে প্রার্থীতা নিয়ে তাক লাগিয়ে দেন তিনি। এরপর তো পুরো পৃথিবীকেই তাক লাগিয়ে নির্বাচিতই হয়ে যান তিনি। 

নির্বাচিত হবার পর থেকে যেন ডোলান্ড ট্রাম্পের অদ্ভুতুড়ে কথাবার্তার বেগ আরও বেড়ে যায়। কখনো বর্ণবাদী মন্তব্য, কখনো অবৈজ্ঞানিক কোন কথা কিংবা কখনোবা স্রেফ হাস্যকর। এগুলো যে শুধু বক্তৃতাতেই বলেন, এমন না কিন্তু। পুরো বিশ্বের তরুণ সমাজের মত মার্কিন প্রেসিডেন্টও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভালোরকমই আসক্ত। ডোনাল্ড ট্রাম্পের পছন্দের সোশ্যাল মিডিয়া হচ্ছে টুইটার। আর এই টুইটারেই দিন নেই, রাত নেই টুইট করে চলেন তিনি। এসবের একটা বড় অংশই সাধারণ আমেরিকান নাগরিকদের মাথাব্যথার কারণ। অনেকের কাছে ‘২৮০ ক্যারেক্টারের বুলশিট’! এই মাথাব্যথার মাঝেও যাতে সুস্থ থাকা যায়, তাই পল স্পেলমেনের বানানো রোবটটি ইবুপ্রোফেন গ্রুপের ট্যাবলেট বিতরণ করে চলেছে। 

স্পেলমেন একটি অ্যালগরিদম বানিয়েছেন, যা ডোনাল্ড ট্রাম্পের অফিসিয়াল টুইটার একাউন্ট থেকে কোন টুইট করা হলে তা রোবটের মাঝে একটি মোটরকে সক্রিয় করে দেয়। ভিতরে রাখা একটি ওষুধবাহী পাত্র ঘুরে একবার ঘুরতে পারে, এবং ট্রাম্পের মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে একটি ট্যাবলেট। রোবট বিষয়ে স্পেলমেন বলেন, ‘আমি এমন একটা কিছু বানাতে চেয়েছি যা সবাইকে কিছুটা হাসাবে পাশাপাশি দেশ চালাতে গিয়ে বর্তমান রাষ্ট্রপতির হাস্যকর আচরণের দিকেও নির্দেশ করবে।’

সামনের বছর আমেরিকান প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আসতে এখনো বেশ সময় আছে। তাতে ট্রাম্প আবার জয়ী হবেন কি না, তা এখনই না বলা গেলেও, এই রোবটটি যে বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখবে অনেকের জীবনে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। 

৪৫২ পঠিত ... ১৯:১৬, আগস্ট ০৫, ২০১৯

আরও eআরকি

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

কৌতুক

রম্য

সঙবাদ

স্যাটায়ার


Top