নোবেল জিতে নীলস বোরের মতো উপহার আর কেউ কখনো পাননি

১১০০ পঠিত ... ১৮:৩৫, অক্টোবর ০৭, ২০১৮

ড্যানিশ পদার্থবিদ নীলস বোরকে চেনে না এমন শিক্ষিত লোকই বা কয়জন আছে দুনিয়ায়! পরমাণুর গাঠনিক মডেলের জন্য তিনি চিরদিন অমর হয়ে থাকবেন। রাদারফোর্ড মডেলের জনক আর্নেস্ট রাদারফোর্ডের অধীনে ১৯১১-১২ সালে প্রথমে ক্যামব্রিজ এবং পরে ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে নীলস বোর কাজ করেছেন। তারপর ১৯১৩ সালে তার পিএইচডি গবেষণা প্রকাশিত হলে সাড়া পরে যায় তৎকালীন বিজ্ঞান দুনিয়ায়।

পরমাণুর গঠন আবিষ্কার এবং কোয়ান্টাম থিওরিতে অসামান্য অবদানের জন্য ১৯২২ সালে মাত্র ৩৭ বছর বয়সে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল অর্জন করেন নীলস বোর। এরপর তিনি নিজ শহর কোপেনহেগেনে এসে গবেষণার কাজ করেন। এ শহরেরই বিয়ার কোম্পানি কার্লসবার্গ, যাকে পুরো দুনিয়ার লোকজন এক নামে চেনে। কার্লসবার্গ শুধু যে চমৎকার বিয়ার বানায়, তা কিন্তু না। তারা তাদের কোপেনহেগেনের বিয়ার কারখানায় (ভাঁটিখানা) রীতিমত নতুন নতুন রকমের বিয়ার নিয়ে গবেষণা পর্যন্ত হয়।

এর সাথে বিজ্ঞানের নানা ক্ষেত্রে গবেষণায় অনুদান দেবার জন্য এই বিয়ার কোম্পানির আছে কার্লসবার্গ ফাউন্ডেশন। নীলস বোর এই ফাউন্ডেশন থেকে বিভিন্ন গবেষণায় দীর্ঘদিন অনুদান পেয়েছেন। তো এই তরুণ বিজ্ঞানীর নোবেল প্রাপ্তির ঘটনায় কার্লসবার্গ এতটাই উচ্ছ্বসিত হয়েছিল যে, কোপেনহেগেনে তাদের কারখানার ঠিক পাশেই এই বিজ্ঞানীর জন্য একটি সুদৃশ্য বাড়ি কিনে দেয়া হয়, যেখানে বসে তিনি গবেষণা কাজ করতে পারবেন। এটুকুতেই থেমে থাকলে চলত। কিন্তু তারা সরাসরি বিয়ার কারখানা থেকে ঐ বাড়ি পর্যন্ত একটা পাইপলাইন বানায়, যা দিয়ে পানি না সরাসরি বিয়ার চলে আসবে নীলস বোরের জন্য। বিয়ার পান করতে আর কোথাও যেতে হবে না, গবেষণার ফাঁকে ফাঁকে কেবল কল ঘুরালেই মগ ভরে উঠবে সোনালী এই ‘সুস্বাদু’ পানীয়তে।

অবশ্য নীলস বোর এই বাড়িতে খুব বেশি নিয়মিত থাকতেন না। এই তিতকুটে পানীয়তে সবসময় গলা ভেজালে গবেষণা করবে কে?

১১০০ পঠিত ... ১৮:৩৫, অক্টোবর ০৭, ২০১৮

আরও eআরকি

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

কৌতুক

রম্য

সঙবাদ

স্যাটায়ার


Top