সাইক্লিস্ট নোবেলজয়ীর পার্কিং স্পেস জয়

৪৭৫ পঠিত ... ১৮:০৭, জুন ২৫, ২০১৮

সুইস ভদ্রলোক জাক দুবোচে। ২০১৭ সালে রসায়নে নোবেল প্রাপ্ত এই জৈবপদার্থবিদ ইউনিভার্সিটি অফ লোজানের কাছে চেয়ে বসেন তার সাইকেলের জন্য একটা পার্কিং স্পেস। অবাক হচ্ছেন, সাইকেলের জন্য আবার পার্কিং স্পেস?

পশ্চিমের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সাধারণত পকেটের টাকা খরচ করে পার্কিং লটে জায়গা ভাড়া করতে হয় শিক্ষকদের। তা আপনি লেকচারার হন অথবা প্রফেসর, আপনি টয়োটা চালান নাকি মার্সিডিজ তার উপর কিছু নির্ভর করে না। তবে সে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরও সুযোগ আছে, পার্কিং লটে বিনা পয়সায় গাড়ি রাখার। না, কোনরকম রাজনৈতিক ক্ষমতা খাটিয়ে নয়। এ জন্য আপনার হতে হবে নোবেল বিজয়ী। পাশ্চাত্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নোবেলজয়ী শিক্ষকদের জন্য পার্কিং লটে বিনা পয়সায় ব্যবস্থা থাকে রিজার্ভড পার্কিংয়ের জায়গা।

৭০ বছর বয়সী এই নোবেল বিজয়ী সাইকেলেই সবসময় যাতায়াত করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার সাইকেলের জন্য একটা আলাদা পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করে দেন! একদিন সকালে সাইকেল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে নিজের সাইকেলের জন্য রিজার্ভ পার্কিংয়ের জায়গা দেখে আনন্দিত হয়ে যান এই বিজ্ঞানী।

সুইজারল্যান্ডের মর্জেস  আর ডোরিগনির মাঝের প্রায় সাড়ে সাত কি.মি দূরত্ব তিনি সাইকেলেই পাড়ি দেন। ৩০ বছরে তার যাতায়তের প্রায় অর্ধেকই ছিল সাইকেলেই। কয়েক বছর আগে কেনা ব্যবহৃত সাইকেলটি নিজের মত করে ঠিক করিয়ে নিয়ে এখনো চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। নিজের সাইকেলের জন্য ব্যক্তিগত পার্কিং স্পেস পেয়ে তিনি এখন আশা করছেন লোজান আর মর্জেসের মাঝে সাইকেলের জন্য আলাদা একটা সড়কের। ক্রায়ো-ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপির বিকাশের জন্য ২০১৭ সালে জোয়াকিম ফ্রাঙ্ক এবং রিচার্ড হেন্ডারসনের সাথে সম্মিলিতভাবে রসায়নে নোবেল পেয়েছিলেন সুইজারল্যান্ডের এই বিজ্ঞানী।

৪৭৫ পঠিত ... ১৮:০৭, জুন ২৫, ২০১৮

আরও eআরকি

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

কৌতুক

রম্য

সঙবাদ

স্যাটায়ার


Top