লেখা: আদ্রিতা কবীর
একটা ঝড়ের দেশে থাকি। প্রতিদিন বাতাসে ভাসে কার ভোটে কোন জেনিটিলিয়ার লোক কয়জন পার্লামেন্টে আসবে কী আসবে না। আর ভাসে ধুলা এবং কয়েকটা মেয়ের চিৎকার যাদের সাথে আজকে কিছু তো হইছে। গু*ম, খু*ন, ধ*র্ষ*ণ কিংবা সমুদের চাপের মত আরো লঘু কিছু যেমন, ভাইয়ের সম্পত্তি কাইড়া নেওয়া বা প্রাক্তনের বাচ্চা। কোর্টেও ঝড় হয়, ধুলাটুলা চোখে গিয়ে বিচারক দেখতে পায় না, তবে তার চোখে পানি আসে তার আর আসে কেতর।
ঝড়ের পরও গরম কমে না৷ কী অসহ্য! শুধু ভাইসা আসে ময়লাপানি আর ব্লাসফেমি আইন। কখনো আফটারশকে শুনতে পাই কোনো এক পুরান পাপীর অডিও রেকর্ড। এরকম শুনছি অতীতেও। ১৫, ২০, ২৫ বছরের বা জনম জনমের অতীতে। কেউ বলে রেকর্ড করলো কে, কেউ বলে শাস্তি দিয়া দাও এত খোচাখুচি কইরো না, দুর্যোগের আবহাওয়া।
মসজিদের মাইকে গলা খাঁকারি শুনি। বাতাসে ভাসে মুয়াজ্জিনের থুতু, ডাক আর ধুলাবালি। কোন বেলার আজান এইটা? নাকি অবেলার?
ঝড় থামার অপেক্ষা না করে লোকে রিকশা করে। বাংলালিংক পলিথিনে মোড়া রিকশাওয়ালা জানে বেঙ্গলমিটের মাংসের মতই সে, খালি দাম কম। প্যাকেজিং দুর্বল যে।
মাটি সোঁদা গন্ধ দেয়। বহুদিন সে ভেজা। নানা কিছু শুকায় নাই। রক্ত, চোখের পানি, আমাদের কালেক্টিভ বমি আর ঐযে ঝড়ের পানি।
ঝড়কে উর্দুতে বলে তুফান আর ইতালিয়ানে টেম্পেস্তা। এদেশে বলে সিলসিলা।
পাঠকের মন্তব্য