লেখা: শাহরিয়ার আহমেদ সাদিব
৫ আগস্ট গণভবনে ঢুকে আমি প্রথমে পুকুর পাড়টায় যেয়ে বসি। কেউ পুকুরপাড়ে বসে কাঁদছে, কেউ গোসল করছে, কেউ মাছ ধরছে। সবার মাঝে মুক্তির আনন্দ।
এর মধ্যে এক মধ্যবয়সী ভদ্রলোক আমার পাশে এসে বসেন। যে গ্রুপটা সর্বপ্রথম গণভবনে ঢোকে তাদের মধ্যে তিনি একজন। লোকটা নানান গল্প করতে করতে বেশ বিষণ্ণ হয়ে যায়।
একটা পর্যায়ে বলে, জানেন ভাই, এই মহিলা দুপুরে খাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তার ডাইনিংয়ে ১০-১২ পদের আইটেমের বুফে প্রস্তুত ছিল। একদম গরম টাটকা খাবার।
তার ফ্রিজগুলো খুলে দেখেছিলাম। এত বড় বড় পাঙ্গাস মাছ আমি জীবনেও দেখিনি। একেকটা ১৫-২০ কেজি ওজনের নদীর পাঙ্গাস।
অন্তত ১০-১২টা আস্ত ইলিশ মাছ দেখেছি। একেকটা দেড় কেজির কম না।
একটা গরীব দেশে এই মহিলা রানীর মত বসবাস করছিল। অথচ এই মহিলা আমাদেরকে পিয়াজ ছাড়া, তেল ছাড়া রান্না করতে বলত, বাচ্চাদেরকে কাঁঠালের বার্গার খাওয়াতে বলতো, ভাতের বদলে আলু খেতে বলত।
আমার বাচ্চা অনেক দিন ইলিশ মাছ খায় না। সাধ্য হয় না কেনার। বলতে বলতে লোকটা কেঁদে ফেলল।
আমি কিচ্ছু ধরি নাই। খুব ঘৃণা লেগেছে এই খাবারগুলো দেখে।
তারপর চোখ মুছতে মুছতে বলল, শেখ হাসিনা এদেশের মানুষকে প্রচণ্ড ঘৃণা করতেন আর আমাদের কস্ট দেখে আনন্দ পেতেন।
কথা সত্য। উনি আমাদেরকে ঘৃণা করতেন, অসম্ভব রকমের ঘৃণা করতেন।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন