লেখা: আরিফ রহমান
মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে ৯ দিনে ৬৯ মামলা করেছিল স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার। আজ সেই মাহফুজ আনাম ডেইলি স্টারে সাবেক সরকার প্রধান হাসিনার বিরুদ্ধে ঢালাও মামলার বিরোধিতা করে স্পষ্ট কলাম লিখেছেন।
একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের আওয়ামীপন্থি সাংবাদিক দম্পতির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। মাহফুজ আনাম বলেছেন, এটা স্পষ্ট অন্যায়। তারা রেজিমের পারপাস সার্ভ করেছেন এটা সত্য, কিন্তু গড়পরতা হত্যা মামলায় তাদের জড়ানো তো আগের সিস্টেমকেই বহাল রাখা হলো।
এই সূত্রে সেই সাংবাদিক দম্পতির স্ত্রীটির করা একটা প্রতিবেদনের কথা মাথায় এল। প্রথম আলো দুবছর আগে পত্রিকায় 'মাছ মাংসের স্বাধীনতা লাগবে' শিরোনামে এক দিনমজুরের বয়ান ছেপেছিল। তখন এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে প্রথম আলো সরকারকে হেনস্তা করতে চাচ্ছে এই মোটিভ নিয়ে তথাকথিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলেন সেই নারী সাংবাদিক।
সেই প্রতিবেদনের সূত্র ধরে জেলে যেতে হয় প্রথম আলোর রিপোর্টারকে। সেই মামলাতেও সম্পাদক সূত্রে মতিউর রহমান আর প্রকাশক সূত্রে মাহফুজ আনামের নাম আসে।
অথচ আপনি আমি সবাই জানি প্রকাশক মাহফুজ আনাম সত্যটাই প্রকাশ করেছিলেন। মাছ মাংসের স্বাধীনতা আমাদের ছিল না, ছিল না সেই কথা বলার স্বাধীনতাও।
কিন্তু সেই বেসরকারি টিভির সাংবাদিকটি সরকারের পক্ষ নিতে নিতে এতটাই নিচে নেমেছিলেন যে মানুষের নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশকেও অপরাধ হিসেবে গণ্য করেছিলেন। জামাত-শিবির বানিয়ে ছেড়েছিলেন।
মানবাধিকারের এহেন লঙ্ঘন, মানুষের দীর্ঘশ্বাসের এমন অসম্মান হিটলারের আমলেও বোধহয় দেখা যায়নি।
অথচ সেদিন সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে আক্রান্ত হয়েও মাহফুজ আনাম আজ সেই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দেওয়ার প্রতিবাদ করেছেন।
আসলে যেকোনো বিবেকবান মানুষ সেটাই করবেন। শত্রু খাদে পড়েছে দেখে উল্লাস করবেন না। ওটা করে আওয়ামী লীগ।
আমার লিস্টে এখনও আওয়ামী লীগ সমর্থক শত শত জানোয়ারেরা ঘেউ ঘেউ করে জাস্টিফাই করে যাচ্ছে নিজেদের অবস্থান।
আপনারা মানুষ হন...
আপনারা মানুষ হন...
এই সেদিন মাছ মাংসের স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলার জন্য আপনারা সাধারণ মানুষকে কী হেনস্তাই না করেছেন। সেই সাধারণ মানুষেরা আপনাদের চাইতে নৈতিকভাবে কত উন্নত একবার চিন্তা করে দেখেন।
আপনাদের নসিব যে প্রকাশ্যে রাস্তায় জুতা মেরে আপনাদের অনেকের বিচার করা হচ্ছে না।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন