যেহেতু বাংলাদেশের প্রায় সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নতুন উপাচার্য নিয়োগ দিতে হবে, তাই আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কীভাবে প্রেসিডেন্ট (বাংলাদেশের ক্ষেত্রে উপাচার্য) নিয়োগ হয় তা ফেসবুকে লিখেছিলেন মোহাম্মদ এ হালিম। সে লেখাই তুলে ধরা হলো ইআরকির পাঠকদের জন্য।
১. প্রথমে উপাচার্য নিয়োগের জন্য একটি সার্চ কমিটি গঠন করা হয় যেখানে সকল কলেজের শিক্ষকদের প্রতিনিধি, ছাত্রদের প্রতিনিধি, স্টাফদের প্রতিনিধি এবং লোকাল কমিউনিটির প্রতিনিধি থাকে।
২. উপাচার্য নিয়োগের জন্য উন্মুক্ত ন্যাশনাল সার্চ করা হয় যেখানে উপাচার্যের অভিজ্ঞতা হিসাবে তার লিডারশিপ কোয়ালিটি, শিক্ষক ও গবেষক হিসাবে তার যোগ্যতা চাওয়া হয়। উপাচার্য হওয়ার জন্য প্রার্থীকে অবশ্যই প্রভোস্ট বা ডিন হিসাবে পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। আমেরিকায় প্রভোস্ট হলো সকল কলেজের প্রধান এবং ডিন হলেন যিনি সবগুলো বিভাগের প্রধান। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রভোস্টের সাথে আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রভোস্টের কাজের কোনো মিল নেই।
৩. উপাচার্য পদের জন্য পাওয়া আবেদনকারীদের কভার লেটার, সিভি, লিডারশিপ অভিজ্ঞতা, শিক্ষক ও গবেষক হিসাবে তার অভিজ্ঞতা, এবং পাঁচ বছরের ভিশনের লিখিত ডকুমেন্টের ওপর যাচাই-বাছাই করে ৫-১০ জনের একটি শর্ট লিস্ট করা হয়।
৪. শর্ট লিস্টে থাকা প্রার্থীদের ফোন ইন্টারভিউ নেওয়া হয়, সার্চ কমিটির সকল সদস্য উপস্হিত থাকেন সেই ইন্টারভিউতে । সকল প্রার্থীকে একই প্রশ্ন করা হয় । ফোন ইন্টারভিউ থেকে সবচেয়ে যোগ্য তিনজনকে ক্যাম্পাস ইন্টারভিউের জন্য ডাকা হয়।
৫. ক্যাম্পাস ইন্টারভিউটি একদিন বা দুইদিনের জন্য হয় যেখানে প্রত্যেক প্রার্থীদেরকে প্রভোস্ট ও সকল ডীনের সাথে সাক্ষাৎ করতে হয় । এছাড়া অনেকগুলো প্রেজেন্টেশান দিতে হয় যেখানে ৫ বছরের ভিশন কী হবে এবং শিক্ষা ও গবেষণায় তার পরিকল্পনা কী হবে তা সকলের নিকট উপস্হাপন করতে হয়। এই প্রেজেন্টেশানগুলো ক্যাম্পাসের সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকে এবং সকলে রেটিং প্রদান করতে পারে।
৬. ক্যাম্পাস ইন্টারভিউটির পর পুরো কমিটি প্রার্থীদের পারফরমেন্সের ওপর তিনজন প্রার্থীর মধ্যে বেস্ট প্রার্থীকে সিলেক্ট করে। বেস্ট প্রার্থীকে প্রথমে অফার দেওয়া হয়, তিনি অফার গ্রহণ না করলে দ্বিতীয় বেস্টকে অফার দেওয়া হয় । প্রার্থী অফার একসেপ্ট করলে তা স্টেটের গভর্নর কার্যকর করেন।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন