ডিমের অতিরিক্ত দামে আপাতত অন্য সবার মতোই কুপোকাত ব্যাচেলররা। তবে অন্যদের চেয়ে তাদের অবস্থা একটু বেশিই খারাপ, কারণ ব্যাচেলরদের জীবনের বেশিরভাগই ডিমের উপর নির্ভরশীল। ডিমের এই ঊর্ধ্বগতিতে কীভাবে তাদের জীবন কাটছে তারই বিস্তারিত জানতে আমরা যোগাযোগ করেছিলাম ব্যাচেলরস সোসাইটির প্রেসিডেন্টের সাথে।
প্রতিবেদক: একি ভাই, শুধু পানি দিয়ে ভাত খাচ্ছেন কেন?
প্রেসিডেন্ট: পানির দামেই ডিম পাচ্ছি, আবার পানির অপর নাম জীবন, তাহলে একই দাম দিয়ে শুধু ডিম কেন খাবো? জীবনই খাই। আমিতো চাই সব ব্যাচেলরই ডিম খাওয়া ছেড়ে দিক, দুনিয়ার ব্যাচেলর এক হও ডিম ছাড়ো।
প্রতিবেদক: ওয়াও, এভাবে তো ভেবে দেখিনি কী দারুণ যাচ্ছে। তবে এতদিন শুনে এসেছি ব্যাচেলর আর ডিম নাকি একে অন্যের পরিপূরক, তবে কী সেই দিন ফুরোতে যাচ্ছে?
প্রেসিডেন্ট: দেখেন মানব জীবন মাত্রই পরিবর্তনশীল শুধু একটা পজিশন ছাড়া মানে আমি কিম জং ঊনের পজিশন নিয়ে কথা বলছিলাম। তো পরিবর্তন আপনাকে মেনে নিতেই হবে, হয়তো আগামীতে ডিমের দাম মাংসকে ছাড়িয়ে গেলে মাংসই হতে পারে ব্যাচেলরদের সঙ্গী।
প্রতিবেদক: দুপুরে তো পানি দিয়ে ভাত খেলেন, রাতেও কী পানি দিয়েই খাবেন?
প্রেসিডেন্ট: না কয়েকদিন ধরে রাতে খাওয়া বন্ধ রেখেছি, এভাবে একইসাথে টাকাপয়সাও বেঁচে যাচ্ছে পাশাপাশি সন্ন্যাস গ্রহণেরও একটা ট্রেনিং হয়ে যাচ্ছে। দেশের উন্নয়নের সাথে সাথে আমার নিজের জীবনযাপনেও বেশ উন্নতি চলে আসছে ভেবেই ভালো লাগছে।
প্রতিবেদক: কিন্তু ভাই কিছু মনে করবেন না এভাবে চললে তো বেশিদিন বাঁচবেন না
প্রেসিডেন্ট: কোনো সমস্যা নাই, মরে গেলে যাবো, তখন অন্তত ভোট তো দিতে পারবো হে হে।
প্রতিবেদক: আচ্ছা শেষ প্রশ্ন ইদানিং আটকাআটকির ট্রেন্ড চলছে, আপনি কীসে আপাতত আটকে আছেন জানতে পারি।
প্রেসিডেন্ট: আপাতত ডিমের দামেই আটকে আছি, এছাড়া আর কোনো আটকাআটকি নাই আমাদের জীবনে।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন