আজ শহীদ নূর হোসেন দিবস। এই বিশেষ দিন উপলক্ষ্যে, আমরা গিয়েছিলাম বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি লে.জে. হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদের কাছে। হ্যাঁ, একটু ওপারেই গিয়েছিলাম। আমাদের প্রতিনিধির সাথে এরশাদ সাহেবের বিশেষ আলাপচারিতায় উঠে এসেছে তাঁর এখনকার চিন্তার নানা দিক…
eআরকি প্রতিনিধি : কেমন আছেন এখানে?
এরশাদ : (গুনগুন করে গাইতে গাইতে) ভালো আছি, ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো…
eআরকি প্রতিনিধি : কাকে বললেন?
এরশাদ : তুমি, তোমরা, তোমাদের, বাংলাদেশের সবাইকে।
eআরকি প্রতিনিধি : কেন?
এরশাদ : আমি তো আকাশে। গণভবনের ঠিকানায় চিঠি লিখলে তো আমাকে আর পাবা না।
eআরকি প্রতিনিধি : কবিতা লেখা কেমন যাচ্ছে আপনার?
এরশাদ: এখানে তো সুখ আর সুখ। এতো সুখে কবিতা হয় নাকি? বলতে গেলে প্রতিদিনই রাইটার্স ব্লকে পড়ি আবার উঠে যাই। অনেকটা প্রেমের মতো। তাও লিখি, জাত কবিরা কখনো কবিতা না লিখে থাকতে পারে না। কাল রাতে দু’ লাইন লিখেছি। তোমাকে শোনাই,
‘যেদিন আমি হারিয়ে যাব, বুঝবে সেদিন বুঝবে,
অস্তপারের সন্ধ্যাতারায় আমার খবর পুঁছবে-
বুঝবে সেদিন বুঝবে!’
eআরকি প্রতিনিধি : এটা আপনার লেখা?
এরশাদ: ওই ইয়ে… আমারই। গতকাল গভীর রাতে, যখন পৃথিবী মানে পরকাল ঘুমিয়ে তখন রচনা করেছি।
eআরকি প্রতিনিধি : আচ্ছা সে যাই হোক। আজ নূর হোসেন দিবস। আপনার কিছু বলার আছে?
এরশাদ: ওহো তাই নাকি, এখানে ক্যালেন্ডার নাই তো খবর পাই না। আই লাভ নূর হোসেন। তা কেমন আছে তোমাদের এখনকার নূর হোসেনরা?
eআরকি প্রতিনিধি : বুঝলাম না কথাটা?
এরশাদ: এখন তো বুঝবে না, বুঝবে কেনো। এখন তো আর দেশে কোনো নূর হোসেন নাই। ফেসবুকেই লিখতে পারে না, নিজের শরীরে ক্যামনে লিখবে। আপনাকে বরং একটা গান শোনাই
(সাথে সাথে গান বেজে উঠলো, আমি তো ভালা না ভালা লইয়া থাইকো)
এরশাদ: গানটা সুন্দর না?
eআরকি প্রতিনিধি : হ্যাঁ। কিন্তু এত গান থাকতে এই গান কেন?
এরশাদ: এটা একটা জীবনমুখী রাষ্ট্রীয় গান, এখানে জীবনের কথা বলা আছে, রাষ্ট্রের কথা বলা আছে, এই গানই তো শুনবো।
eআরকি প্রতিনিধি : কিন্তু… কিন্তু এইটা তো একটা প্রেমের গান।
এরশাদ : হ্যাঁ প্রেমের, দেশপ্রেমের। মানব প্রেমের গান। আপনারা তো আমাকে স্বৈরাচারী বলে দূরে সরিয়ে দিয়েছেন। এখন কেমন লাগে? হু? কেমন লাগে? (এই বলে তিনি আবার গুনগুন করে গান গাইতে লাগলেন)
অতীতের কথাগুলো, পুরানো স্মৃতিগুলো মনে মনে রাইখো
আমি তো ভালা না, ভালা লইয়া থাইকো।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন