সামরিকবাহিনীর সদস্যকে হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেফতার হয়েছে ঢাকার এমপি হাজী সেলিমের পুত্র এরফান সেলিম। উল্লেখ, তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে নৌবাহিনীর এক সদস্য বেদম প্রহার করে এরফান।
এরফানের এমন আচরণকে বোকামি ও বিবেচনাহীন কাজ বলেছেন এরফানের শ্যালক, নোয়াখালীর এমপি একরামুল করিম চৌধুরির ছেলে শাবাব চৌধুরী। নিজের একটি ফেক আইডি থেকে এমন বিবৃতি দেন শাবাব।
দুলাভাইয়ের উদ্দেশ্যে শাবাব বলেন, 'ও একটু দেখে শুনে মারবে না? পুলিশ পর্যন্ত ঠিক আছে, আর্মি-নেভি কেন?'
রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে মানুষ চাপা দেয়া ও অন্যান্য মারামারির ঘটনা মনে করিয়ে দিয়ে শাবাব বলেন, 'আমিতো পুলিশের গাড়িও ছাড়ি নাই। সিভিলিয়ান তো কয়েকজনকে মেরেছিই। একজনকে তো গাড়ি চাপাই দিয়েছি। কই, আমার তো কিছু হলো না। কারণ আমি দেখেশুনে মেরেছি। কিছু টাকা আর ধমক টমকে পার।'
এ সময়ে অন্যান্য এমপিপুত্রদের এরফানের ঘটনা থেকে শিক্ষা নেওয়ার কথাও বলেন শাবাব। তিনি বলেন, 'মারতে ইচ্ছে হলে মারবেন। এমপিপুত্র হিসেবে কোন ইচ্ছা দমিয়ে রাখা ঠিক নয়। কিন্তু নিজের নিরাপত্তা আগে। সেজন্যই দেখেশুনে, ঠান্ডা মাথায় পরিচয় নিয়ে ক্ষমতাবান বাদ দিয়ে মারতে হবে।'
এরফানের গ্রেফতারের জন্য হাজী সেলিম ও এরফানের মা-কেও কিছুটা দায় দেন শাবাব। শাবাব বলেন, 'আমি যেদিন চাপা দিলাম, ওদিন তো আমিও গ্রেফতার হতে পারতাম। কিন্তু মায়ের দোয়ায় আমি বেঁচে গেছি। মা পুলিশকে বলেছেন, আমি সেদিন ঢাকাতেই ছিলাম না, ছিলাম নোয়াখালী। আমার বাবাও আমার জন্য কম ফাইট দেন নাই।'
গ্রেফতারের দিন হাজী সেলিম ও তার স্ত্রীর হাসপাতালের চলে যাওয়ার সমালোচনা করে শাবাব বলেন, 'সন্তানের সেফটির জন্য একটু মিথ্যা, সিস্টেমের সাথে একটু ফাইট দিতে না পারলে তারা কিসের বাবা-মা।'
পড়তে পারেন
একরামুল করিম চৌধুরি: অন্যের স্বার্থের জন্য নিজের স্বার্থ ভুলে থাকা এক সাংসদ
নিরাপদে মারধোর করার জন্য সামরিক বাহিনীমুক্ত রাস্তা চান সাংসদপুত্ররা
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন