ডুবে ডুবে মদ খাওয়ার জন্য ডুবসাঁতার শিখছেন সেফাত উল্লাহ

১৭২২ পঠিত ... ১৬:৫৪, এপ্রিল ২২, ২০১৯

বেশ কিছুদিন আড়ালে থাকার পর সম্প্রতি লাইভে এসে আবারও কিছু ‘ভাষা-বোমা’ ফাটিয়ে এবং বিভিন্ন ছেড়াছেড়ি প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে আবারও আলোচনায় এসেছেন অস্ট্রিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি, তরুণদের কাছে মদ এবং মাতলামির সমার্থক হয়ে ওঠা সেফাত উল্লাহ। তবে এবার পাদপ্রদীপের আলোটাকে যেন আরও একবার নিজের দিকে টেনে নিলেন তরুণ ফেসবুকারদের প্রিয় ‘সেফুদা’। হুট করেই একটি লাইভে এসে জানালেন, ডুবসাঁতার শিখছেন তিনি।

ফেসবুক লাইভ এবং মদেই যার সর্বসুখ, তার আবার এখন (মানে এই বয়সে!) সাঁতার শেখার দরকার হলো কেন? মদের eআরকি গবেষক, সরি, eআরকির মদ গবেষক দলের অনুসন্ধানে কেঁচো খুঁড়তে সাপ ও নদী খুঁড়তে মদ বেরিয়ে এলো!

শনিবার (২০ এপ্রিল) গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পূবাইল থানাধীন উজিরপুরা সাতানীপাড়া এলাকায় বালু নদীতে অভিযান চালিয়ে নদীর তলদেশে রাখা বিপুল পরিমাণ মদ উদ্ধার করেছে পুলিশ। অভিযানের সময় নদীর গভীরে পানির নিচ থেকে ৮০টি মাটির কলসি ভর্তি মদ উদ্ধার করা হয়। প্রতিটি কলসিতে প্রায় ৪০/৫০ লিটার করে মদ রয়েছে। বালু নদীর আরো ৫/৭টি জায়গায় এভাবে মদ তৈরি করে পানির নিচে রাখা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ওইসব জায়গায় অভিযান চালানো হবে। খবর: বাংলানিউজ টুয়েন্টিফোর।

খবরটি দেখামাত্রই উচ্ছ্বসিত সেফাত উল্লাহ লাইভে চলে আসেন। সুইমিং গগলস এবং বক্সার পরিহিতি অবস্থায় সুইমিং পুলের পাশে বসে সেই লাইভে তাকে চিল করতে দেখা যায়। তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘কী? সাঁতরাবা নাকি?’

পুলের পানিতে দুই পা নাড়ানাড়ি করে তিনি বলেন, ‘পানির নিচে মদ ভালো। গাজীপুরে নদীর পানির তলায় কলসি ভরা মদের কথা জেনে আমার ভালো লাগছে। অস্ট্রিয়া থেকে সোজা ট্রস ট্রস করে সাঁতরে বালু নদীতে চলে যাবো। এরপর পানির নিচে ডুবসাঁতার দিতে দিতে মদ খাবো, তোমাদের কোনো সমস্যা আছে?’

বাঙালির আদিম ঐতিহ্যই মদ, এমন দাবি করে তিনি যোগ করেন, ‘নদীর নিচে কলসিতে কি পাওয়া যায়? প্রাচীন আমলের গুপ্তধন। কলসিতে মদ পাওয়ার ঘটনায় বোঝা গেলো, মদই আসলে বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্য, রাজা-বাদশাহদের ঐশ্বর্য!’

মদ খেতে জানে না বলে বাঙ্গালিকে ইতোপূর্বে গরীব বলে দাবি করা সেফুদা তার বক্তব্য ফিরিয়ে নিয়ে বলেন, ‘বাঙালি আর গরিব নেই। তারা মদ খাচ্ছে, মানুষ হচ্ছে।’ বাংলাদেশের মানুষদের প্রশংসায় তিনি আরও যোগ করেন, ‘অন্যেরা ডুবে ডুবে জল খায়। কিন্তু বাঙালি ডুবে ডুবে খায় মদ।’

ঐ নদীতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ শীঘ্রই হয়তো তলদেশে থাকা মদের কলসিগুলো উদ্ধার করবে। তার আগেই কি নদীতে নেমে পড়া ভালো না? এমন প্রশ্ন শুনে সেফাত উল্লাহ উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘ঐ *** বা** ওরা মদের কী জানে? শালা *** *** *** সবগুলারে ধইরা *** *** চুবায়ে ওদের *** ***... (ছাপার অযোগ্য)।’

সব শেষে তিনি পানিতে গলা পর্যন্ত ডুবিয়ে আধা বোতল মদ গিলে একটু শান্ত হওয়ার পর তরুণদেরকে পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘ডুবে ডুবে মদ খাবি, উভচর মানুষ হবি’।

১৭২২ পঠিত ... ১৬:৫৪, এপ্রিল ২২, ২০১৯

আরও

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

গল্প

রম্য

সঙবাদ

স্যাটায়ার


Top