মানুষের সম্পর্ক দিনকে দিন আরও উদ্বায়ী হতে শুরু করেছে। সম্পর্কে একবার প্রতারিত হওয়া মানে সারাজীবনের জন্য এক ধরনের ট্রমাটাইজ হয়ে থাকা। একে লাইফটাইম শিক্ষাও বলা যায়। মন ভাঙার পাশাপাশি সে সময় মনে হয় পুরো পৃথিবীটাও ভেঙে যাচ্ছে। তবুও মানুষ ধোঁকা দেয়, ধোঁকা খায়। তবে ধোঁকা না খাওয়ার কি কোনো ব্যবস্থা নেই? অবশ্যই আছে। প্রেম করার সময় চোখ কান খোলা রেখেই আপনি প্রতারিত হবার সম্ভাবনা কমাতে পারবেন শতকরা আশি ভাগ। চলুন জেনে নেই সম্পর্কে প্রতারণা থেকে বাঁচতে কাদের সাথে প্রেম এবং বিয়ে থেকে দূরে থাকবেন।
১) ফর্সা মানুষ: 'হাউজ অব চিটার্স' নামের একটি রিসার্চ পেপার অনুযায়ী, শতকরা ৮৯ ভাগ ফর্সা মানুষই চিট করে থাকেন। ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, ফর্সা মানুষেরা সব সময় নিজেদের নিয়ে এক ধরনের সুপিরিওর কমপ্লেক্সিটিতে ভোগেন৷ তাদের মনের ভেতর 'আই ডিজার্ভ মোর' জাতীয় ভাবনা সবসময় চলমান৷ নিজেকে আরও আকর্ষণীয় ভাবাতেই হোক বা হাই মেইনটেইনেন্স বোঝাতেই হোক, সুযোগ পেলেই তারা পার্টনারের সাথে চিট করে থাকে। তাই ফর্সা মানুষ থেকে সাবধান।
২) কালো মানুষ: একই জার্নাল অনুযায়ী, কালো মানুষের চিট করার সম্ভাবনা শতকরা ৮৮ ভাগ৷ তবে সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী এ হার দিন দিন বাড়ছে। গবেষণা বলছে, কালো মানুষ নিজেদেরকে আফ্রিকানদের দূরবর্তী বংশোদ্ভূত ভাবায় এক ধরনের ফ্যান্টাসিতে ভুগে তারা চিট করছে, বিশেষ করে ছেলেরা। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন সাক্ষাৎকার হতে জানা গেছে, কালো মানুষরা নিজেদের স্ট্যামিনা নিয়েও অত্যন্ত গর্ববোধ করেন—একারণে তাদের এক্সপ্লোর/ অ্যাডভেঞ্চার করার চাহিদাও অন্যান্যদের চেয়ে বেশি। দয়া করে কালো মানুষের সাথে প্রেম করে নিজেকে কষ্ট দেবেন না।
৩) লম্বা মানুষ: যুগযুগ ধরে লম্বা মানুষের আচরণে এক ধরনের ঔদ্ধত্য লক্ষণীয়। শুধু তাই নয়, সাধারণ মানুষ বায়ুমন্ডলের ট্রপোমণ্ডল লেয়ারে বাস করলেও লম্বা মানুষের ক্ষমতা স্ট্রাটোমন্ডল পর্যন্ত। তাই পার্টনারের কাছ থেকে যা লুকানোর, তারা স্ট্রাটোমন্ডলে বসেই করতে পারে। শুধু তাই নয়, গবেষণা বলছে, লম্বা মানুষ 'স্ট্রেচিং মোরালিটি সিন্ড্রোম' নামক একটি ফিকশনাল সিনড্রোমেও আক্রান্ত। তাই তারা নীতি নৈতিকতা ভুলে, মনে যখন যা আসে তা করতে কুন্ঠাবোধ করে না। লম্বা মানুষ মানেই রেড ফ্ল্যাগ, ভুলে যাবেন না।
৪) খাটো মানুষ: আরেকটি মেজর রেড ফ্ল্যাগ হলো খাটো মানুষ। পুরুষ কিংবা নারী হোক, যে কোনো খাটো মানুষ মানেই ঝামেলা। এদের মাথায় সারাদিন বুদ্ধি গিজগিজ করে। ‘নেপোলিওন কম্পলেক্সিটি সিন্ড্রোমে' ভুগতে ভুগতে চারদিকের সবকিছুই এরা নিজের আয়ত্ত্বে রাখতে চায় এবং সব ব্যাপারে একটু বাড়াবাড়ি করে। যে কোনো ভালো অপশন পেলেই সেদিকে দৌড় দেবার প্রবল সম্ভাবনা বিদ্যমান। তাই খাটো মানুষের সাথে বাকি জীবন কাটাতে আপনি প্রস্তুত কিনা এখনই ভালোভাবে ভেবে দেখুন....
৫) স্ট্রেইট চুলের মানুষ: স্ট্রেইট চুলের মানুষদের অন্যতম একটি খারাপ দিক হলো চুলের মতো এদের চরিত্রও খুব গায়ে পড়া স্বভাবের। এমন মানুষকে অল্প সময়ের জন্য ভালো লাগলেও দীর্ঘ সময়ের জন্য এরা কখনোই ভালো হয় না। মানুষের অ্যাটেনশন পাবার এক অবিচ্ছেদ্য ইচ্ছা এদের মধ্যে বিদ্যমান যা শেষমেষ পরিণতি পায় চিটিং-এ। আপনার স্ট্রেইট চুলের কাউকে পছন্দ? নিজের ভবিষ্যৎ নিজের হাতে নষ্ট করবেন না। নিজেকে ভালোবাসতে শিখুন।
৬) কোঁকড়া চুলের মানুষ: কোঁকড়া চুলের মানুষের মতো ঝামেলার আর কিছু নেই। শতকরা ৯৭.৫ শতাংশ কোঁকড়া চুলের মানুষের বিয়ে/সম্পর্ক টিকে না। এবং তারও ৯৫ শতাংশের বিচ্ছেদ হয় শুধু মাত্র চিটিং এর মাধ্যমে। চুলের মতো এদের মনও হয়ে থাকে জটিল, ভীষণ জটিল। ব্রেইনের নিউরন ভর্তি থাকে কেবল প্যাঁচ আর প্যাঁচ। সন্দেহ করতে করতে এরা আপনার জীবনকে বিষাক্ত করে তুলবে। ধীরে ধীরে টক্সিসিটি এতটাই বাড়বে যে শেষপর্যন্ত আপনার অন্য কাউকে ভালো লাগবেই। সুতরাং কোঁকড়া চুলের মানুষদের সাথে যে কোনো সম্পর্কে যাওয়ার আগেই ভাবুন। এদের জালে একবার আটকা পড়লে কিন্তু চুলের মতোই বের হওয়া ভীষণ কষ্ট।