বাসায় অবৈধ জিনিসপত্র ও নেশাজাতীয় দ্রবাদি রাখার অপরাধে ইতিহাসের অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিই গ্রেফতার হয়েছেন। তবে এই অপরাধে স্কটল্যান্ড পুলিশের কাছে গ্রেফতার হলেন হগওয়ার্টস মডেল স্কুল এবং কলেজের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী হ্যারি পটার।
এ ব্যাপারে পুলিশ জানান, ’যে লোকের নামেই পটার আছে, সে যে পট করবে—এ অস্বাভাবিক নয়। এতদিন কেন ব্যাপারটা আমাদের মাথায় আসেনি সেটাই চিন্তা করছি। হ্যারির বাসা থেকে ১০০০ জয়েন্ট পেপার, তিন জার গাঁজা এবং বিদেশী বিশেষ শ্যুগার উদ্ধার করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এছাড়াও ছিলো ইয়াবা, ঝাক্কি,আইস, মেথসহ অসংখ্য মদের বোতলও...’
প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে হ্যারির পাশের বাসার আন্টি জারিন তাসনিম (৩৯) বলেন, ‘আমার ছাদের পাশেই তো ওর রুম। ওইখান থাইকা প্রতিদিন রাতের বেলা আইশ্চর্য এক গন্ধ বাইর হয়। প্রায়ই রন উইজলির হো হো করে হাসির শব্দ শোনা যায়, একদিন অবশ্য হারমায়োনির গলাও শুনছি। এত রাতে মেয়ে মানুষ ছেলেদের ফ্ল্যাটে কী করে জিজ্ঞেস করতে ছাদে উঠছি, প্রশ্ন শেষ হওয়ার আগেই এমন ঘুম দিলাম...!
সেদিন সারারাত আমি ছাদেই ঘুমাইছি, এতো ফ্রেশ ঘুম আমার কোনোদিন হয় না।এরপর থেকে ঘুম না আসলে আমি প্রায়ই ছাদে যেয়ে বসে থাকি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভাবতেই লজ্জা লাগছে এই কচি ছেলেমেয়েরাও মাদকের ভয়াল থাবা থেকে বাঁচতে পারলো না।’
এই সঙবাদ মিডিয়াতে ফলাও করে প্রচারের পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন হ্যারি পটারের অসংখ্য ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। তবে রিপোর্টারদের অনুরোধেও মুখ খুলতে রাজী হননি রন, হারমিওনি বা হ্যারি পটার। তবে এক গোপন সূত্রে জানা গেছে, রনের মা মলি উইজলি তার ছেলের জন্য বাঁশের কঞ্চিতে সরিষার তেল মেখে বেত বানাচ্ছেন। এবং হারমায়োনির মা মিসেস গ্রেঞ্জার জানিয়েছেন, কিছুদিনের মধ্যেই হারমায়োনিকে বিয়ে দিয়ে দিবেন। তার আর পড়াশোনার দরকার নেই।
এই বেদনার্ত সঙবাদে হগওয়ার্টসজুড়ে এক সুনসান নীরবতা বিরাজ করছে। তবে ভক্তদের অনেকেই বলছেন, ‘ওরা ছোট মানুষ, ওরা এসবের আর কী বুঝে? ওদেরকে ছেড়ে নাটের গুরু জে.কে রাউলিংকে গ্রেফতার করা হোক...’
