আজ ২৭ জুলাই বাংলাদেশে আলোচিত আশরাফুল আলম সাঈদ ওরফে হিরো আলমকে জিজ্ঞাবাসাদ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এ বিষয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘বাংলাদেশের যে কৃষ্টি ও সংস্কৃতি রয়েছে, তাতে আমরা গান গাই-শুনি রবীন্দ্র ও নজরুলসংগীত। কিন্তু হিরো আলম যেভাবে গান, তাতে এসব কৃষ্টি-কালচার পুরোটাই বদলে দিয়েছেন। আমরা জিজ্ঞাসা করেছি, “আপনি এসব কেন করেন?” উনি আমাদের বলেছেন, “আমি আর জীবনে এসব করব না। আমি আর পুলিশের পোশাক পরবো না। কোনো ধরনের রবীন্দ্র–নজরুল সংগীত গাইব না।
তাহলে ভবিষ্যতে রবীন্দ্র ও নজরুল সঙ্গীত গাইতে কী কী ধরনের নিয়ম-কানুন জারি হওয়া উচিৎ? এ ব্যাপারে গবেষণা শুরু করেছে eআরকি নজরুল ও রবীন্দ্র গবেষক দল। কী কী নিয়ম পেয়েছেন তারা? চলুন জেনে আসা যাক।
১# রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের বংশধর ছাড়া কেউই রবীন্দ্র সংগীত ও নজরুল সংগীত গাইতে পারবে না। গাওয়ার আগে কে কততম বংশধর তা নিশ্চিত করতে হবে।
২# রবীন্দ্র সংগীত গাওয়ার জন্য আগে রবীন্দ্রনাথের মত গোঁফ, দাঁড়ি রাখতে হবে। সত্যি সত্যি গোঁফ, দাঁড়ি বানাতে না পারলে ফেক গোঁফ, দাঁড়ি পরে গাইতে হবে। আর এই ফেক গোঁফ, দাঁড়ি কিনতে হবে নিখিল বাংলা রবীন্দ্র সোসাইটি থেকে।
৩# নজরুল সংগীত গাওয়ার আগে লেটো গানের দলে অন্তত ১ বছর সময় দিতে হবে। রুটি বানানোর অভিজ্ঞতা না থাকলে জীবদ্দশায় ৫টার বেশি নজরুল সংগীত কেউ গাইতে পারবে না।
৪# মন চাইলেই টি-শার্ট, জিন্সের মত পোষাক পরে রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল সংগীত গাওয়া যাবে না। এই ধরনের সংগীতে পোষাক খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। লম্বা জোব্বা অথবা লেটোর গানের পোষাক ছাড়া এই ধরনের গান গাওয়া বেয়াদবি হিসেবে গন্য হবে।
৫# ঢোল, তবলা, হারমোনিয়াম, করতাল ব্যতিত অন্য কোন ধরনের বাদ্যযন্ত্রের সাথে রবীন্দ্র সংগীত ও নজরুল সংগীত গাওয়া যাবে না। সেসব বাদ্য যন্ত্রের কারিগর হতে হবে রবীন্দ্র-নজরুল সময়ের কারিগরদের বংশধর।
৬# নিজের ইচ্ছে মত যেকোন স্থানে রবীন্দ্র সংগীত গাওয়া যাবে না। কলকাতায় গাইলে গাইতে হবে -শান্তি-নিকেতনে। বাংলাদেশে যেহেতু শান্তি নিকেতন নেই সেক্ষেত্রে এখানে একটা রবীন্দ্র মাজার বানানো যেতে পারে। সেখানেই গাইতে হবে গান।
৭# অনেকের বাথরুমে গুণগুণ করে গান গাওয়ার অভ্যাস। এমন আর চলতে দেয়া যাবে না। বাথরুমে চাইলে যেকোন গান গাওয়া যাবে, কিন্তু কোনভাবেই রবীন্দ্র সংগীত ও নজরুল সংগীতের মত উচ্চমার্গীয় গান বাথরুমে গাওয়া যাবে না। গাইলে বাথরুম থেকে সরাসরি জেলে নিয়ে যাওয়া হবে।
৮# ইউটিউব, ফেসবুক এমন মাধ্যমে রবীন্দ্র সংগীত রাখা যাবে না। এটি লং প্লেতে রেকর্ড করে লং প্লেতেই রেখে দিতে হবে।