১০০ বছরে পদার্পন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এ জন্য বর্নিল সাজে সেজেছে ক্যাম্পাস। পালন করা হচ্ছে নানা কর্মসূচী। উৎসব উৎসব বাতাবরণ পুরো ক্যাম্পাস জুড়েই। এই মাহেন্দ্রক্ষণে, আর কী কী আয়োজন রাখা যেতে পারে, সেটাই চিন্তা করেছে eআরকির গবেষণা দল। সেটারই সারসংক্ষেপ আপনাদের সামনে।
১# ছাত্রলীগ বনাম নুরু ফ্রেন্ডলি মারামারি
গত কিছু বছর যাবত ঢাবি ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ বনাম নুরুর মারামারি প্রায় নিয়মিত একটা ঘটনা ছিলো। এই মারামারির ঘটনা রীতিমত ঢাবি ক্যাম্পাসের একটা ঐতিহ্যের পরিণত হয়েছে৷ ১০০ বছর পূর্তিতে এই ঐতিহ্যের প্রতি সম্মান রেখে একটি ফ্রেন্ডলি মারামারির আয়োজন করা যেতে পারে৷ এতে ১০০ বছর পূর্তির সৌন্দর্য কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে, সমৃদ্ধ হবে আয়োজনও।
২# শিক্ষকদের অংশগ্রহণে গবেষণাপত্র নকল উৎসব
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্যতম শক্তির যায়গা হলো গবেষণাপত্র নকল করা। গত কয়েক বছরে গবেষণাপত্র নকলের ক্ষেত্রে একাধিক বৈশ্বিক পুরস্কারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মিডিয়ার শিরোনামও হয়েছে একাধিকবার। শিক্ষকদের এমন সম্মানীয় অর্জনের কথা বিবেচনায় রেখে একটা গবেষণাপত্র নকল উৎসবের আয়োজন করা যায়৷ যে জিতবে তাকে শিক্ষকতা করার জন্য হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে পাঠানো হবে৷
৩# মাস্টারশেফ—চা, সিঙ্গারা, ছপ স্পেশাল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের চা, সিঙ্গারা, ছপের কথা কে না জানে! আন্তর্জাতিক মহল একাধিকবার এই ১০ টাকার প্যাকেজ খাবারকে নোবেল পুরস্কার দিতে চাইলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নেননি৷ এই বিশেষ খাবারটিকে সম্মান করা সূচক ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের দ্বারা একটা রান্নাবান্না প্রতিযোগিতার আয়োজন করাই যায়৷ চ্যাম্পিয়ন শেফকে মাস্টারশেপ অস্ট্রেলিয়ায়ও পাঠানো যাবে৷
৪# গণরুম মঞ্চায়ন
ঢাবির শতবছরের আরেক ঐতিহ্য এই গণরুম। ম্যানার, র্যাগ, কলাপাতায় ৯ জন থাকা সহ ঢাবির হাজার হাজার ঐতিহ্যকে একাই ধারণ করে আছে এটি। ঢাবির শতবছর পূর্তিতে গণরুম একটা ট্রিবিউট পেতেই পারে৷ টিএসসিতে গণরুমের যাবতীয় কার্যক্রমের একটি উন্মুক্ত মঞ্চায়নের মাধ্যমে তা তুলে ধরা যেতে পারে৷
৫# রং রুটে লালবাসের রেস
ঢাবির শতবর্ষ পূর্তি হবে অথচ লালবাস নিয়ে কিছু হবে না তা তো হতেই পারে না৷ ঢাকার রাস্তায় লালবাসের একটি বুক কাঁপানো রেসিং হয়ে যেতে পারে৷ হ্যাঁ, রেসিংটা অবশ্যই রং রুটে হবে৷
৬# হলের ডালে গণগোসল
ঢাবির হলের ডালকেও দেয়া যেতে পারে ট্রিবিউট৷ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, স্টাফ—সবাই মিলে ক্যাম্পাসের রাস্তায় এই ডাল দিয়ে হয়ে যেতে পারে একটা গণগোসল৷ হাত ধোয়া, মুখ ধোয়ার পর এই গণগোসলের মাধ্যমে হয়তো হলের ডালের অ্যানাদার লেভেল ডেস্টিনি পূর্ণ হতেও পারে৷ আরো একটু সম্মান দেখাতে ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসা সবার গায়ে ডালের পানির পবিত্র ছিটাও দেয়া যেতে পারে৷
৭# লালদল ও সাদাদলের শিক্ষার্থীদের হাতাহাতি
অনেকদিন ধরে যদিও ঢাবির এই ঐতিহ্যবাহী হাতাহাতি অনুষ্ঠিত হয় না৷ তবুও শতবর্ষ পূর্তিতে একটা ডেমো হাতাহাতি করা যেতে পারে৷ নইলে নতুন রা কী শিখবে? ক্যাম্পাসে আসা নতুন স্টুডেন্টরাই বা কী শিখবে!