বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের এক জরিপে উঠে এসেছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলো থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬৬% শতাংশই বেকার থাকছে৷ উন্নয়নশীল এই দেশে এত লোক বেকার থাকা একটা বিশাল সমস্যা৷ পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার উন্নয়নের পাশাপাশি বেকার সমস্যার সমাধানও নিশ্চয় অতি জরুরি৷ সেই লক্ষ্যে দেশে বেকারত্ব কমানোর ১০টি এক্সক্লুসিভ নিনজা টেকনিক থাকছে eআরকির বেকার আইডিয়াবাজদের পক্ষ থেকে।
১# প্রতিটি সরকারি অফিসে ঘুষ খাওয়া কর্মকর্তাদের পাহারা দেয়ার জন্য কর্মকর্তাপ্রতি একজন করে পাহারাদার নিয়োগ দেয়া যায়৷
২# শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো একেবারে বন্ধ করে দিলেই বেকারের সংখ্যা কমে যেতে পারে৷ কারণ পাশ না করলে কেউ এসে বেকারের সংখ্যাও হিসেব করবে না৷
৩# রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁসের দায়ে দেশে সব ধরণের জরিপ নিষিদ্ধ করে দেয়া যায়। এই ধরণের জরিপের কারণেই দেশের বেকার সমস্যাসহ আরো নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়৷
৪# দেশের সব বেকারদের সরকারি দলের ছাত্র সংগঠনে যোগ দেয়া বাধ্যতামূলক করে দেয়া যেতে পারে৷ তাহলে অন্তত কিছু একটা করে বেকারত্ব দূর করতে পারবে৷
৫# বাংলা একাডেমিকে দিয়ে বেকার শব্দটার বানান পরিবর্তন করে 'বিকার' বা 'ব্রোকার' করে ফেলা যেতে পারে৷ তাহলে দেশের আর কোন বেকার থাকবে না।
৬# 'দেশে কোন বেকার নাই, জরিপ টরিপ এইগুলা সব ভূয়া, বিরোধীদলীয় চক্রান্ত' এমন ঘোষণা দিলেই হয়ে গেল।
৭# ফেসবুক লাইভে এসে বলা যায়, 'সরকারকে বিপদে ফেলার জন্য কিছু কুচক্রি লোক ইচ্ছে করেই বেকার থাকতে চায়।'
৮# বি পজিটিভ৷ ৬৬% শতাংশ বেকার থাকলেও ৪৪% তো চাকরি পেয়েছে! সরকারের এমন অনন্য সাফল্যকে ফলাও করে প্রচার করা যায়৷
৯# ৬৬% শতাংশ বেকারদের পদ্মাসেতু ও মেট্রোরেল নিয়ে সারাদিন নিউজ করতে থাকার কাজ দেয়া যায়, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো এতেই বেকারত্ব ঢেকে যাবে৷
১০# সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্টিভিস্ট ও সেলিব্রেটিদের দ্বারা 'আমি গর্বিত আমি বেকার, হ্যাশট্যাগ প্রাউড টু বি আ বেকার' ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা যায়৷