বিশ্বের ১৩৭টি দেশের মধ্যে মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৫তম। কিন্তু এই বাংলাদেশে এত এত ইন্টারনেট ইউজার, এত ফোরজি সাড়েচাইরজি সাড়েসাতজি, তারপরও ইন্টারনেটের গতি এত কম কেন? ইউটিউব দেখার সময় বাফারিংয়ের অবসর সময়ে তা ভেবে বের করেছে eআরকির ফোর পয়েন্ট ফাইভ জি গতিতে ভাবতে পারা আইডিয়াবাজদের দল।
১# মোবাইল ইন্টারনেট জীবনানন্দের কবিতা পছন্দ করে। তাদের হাতে বসে থাকবার অনেক অবসর। স্পিডের কোন তাড়া নেই। তাই তারা স্লো।
২# বাংলাদেশের মোবাইল ইন্টারনেট আসলে ফাইনাল রেস জিততে চায়। সেজন্য 'স্লো এন্ড স্টেডি উইনস দ্য রেস' নীতি মেনে আমাদেরকে স্লো ইন্টারনেট উপহার দেয়।
৩# 'আগে গেলে বাঘে খায়' ছোটবেলার এই নীতিকথাকে ইন্টারনেট খুব সিরিয়াসলি নিয়েছে। সেজন্য বাঘের ভয়ে তারা আগে যায় না। ধীরে ধীরে চলে পেছনে থাকতে চায়।
৪# বাংলাদেশের যাবতীয় মোবাইল ইন্টারনেট আসলে ইভ্যালি থেকে ডাটা অর্ডার দিয়ে চলে। সেজন্য ইন্টারনেটের গতি এত স্লো।
৫# ইন্টারনেটের গতি আসলে বেশি। কিন্তু তার চেয়েও আমাদের গতি বেশি হওয়ায় আমরা মোবাইল ইন্টারনেটকে স্লো দেখি। সেক্ষেত্রে দোষ পুরোটাই আইনস্টাইনের।
৬# মোবাইল ইন্টারনেটের প্রিয় উপন্যাস হলো 'সে আসে ধীরে'। প্রিয় উপন্যাসের নাম তারা কাজের ক্ষেত্রেও ধারণ করে।
৭# মোবাইল ইন্টারনেটের অনেক পিছুটান। তারা যতই আগাতে চায় পিছুটানের কারণে স্লো হয়ে যায়।
৮# তারা আসলে আমাদের মন চুরি করতে চায়। সেজন্য ব্যাকগ্রাউন্ডে 'ধীরে ধীরে ছে মেরি জিন্দেগী মে আনা' গান বাজিয়ে ধীরে ধীরে আসে।
৯# মুরব্বিরা সবসময় বলেন, তাড়াহুড়ার কাজ ভালো হয় না। মোবাইল ইন্টারনেট সেই পরামর্শ সবসময় মেনে চলে।
১০# মোবাইলে বেশি গতির ইন্টারনেট থাকলে ছেলেমেয়েরা আরও বেশি মোবাইল টিপতো। তাই তাদের লাইনের আনার জন্যই আসলে...