করোনার ঝুঁকি এড়াতে সোশ্যাল ডিসটেইন্সিং মেইনটেইন করে চলতে হবে সবাইকেই। কিন্তু বেশিরভাগ সময় তো সবাই ফেসবুকেই থাকে, তাহলে ফেসবুকে কি সোশ্যাল ডিসটেইন্সিং মানবেন না? বাস্তবের সোশ্যাল ডিসটেন্সিংয়ের নিয়মকানুন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মোটামুটি সবাইকেই জানিয়ে দিয়েছে, ভার্চুয়াল নিয়মগুলো আপনাকে জানাচ্ছে বিশ্ব eআরকি সংস্থা, মানে eআরকি, মানে আমরাই আর কি...
১# স্ট্যাটাস দিয়ে সেটা তিন ঘন্টা অনলি মি করে রাখুন। তিন ঘন্টা পর প্রাইভেসি চেঞ্জ করে 'ফ্রেন্ডস' করে দিতে পারেন। স্ট্যাটাস লেখার সময় প্রতি লাইনের মাঝখানে কমপক্ষে তিন লাইন গ্যাপ দিয়ে লিখবেন।
.
.
.
অনেকটা এভাবে।
২# কেউ নক করলে সঙ্গে সঙ্গে রিপ্লাই করবেন না, এমনকি সিনও করবেন না। কমপক্ষে তিন ঘন্টা পর মেসেজ খুলুন।
৩# কোনো ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করতে হলে ইনভাইটেশন পাওয়ার অন্তত দুইদিন পরে জয়েন করুন।
৪# প্রোফাইল পিকচারে মাস্ক না পরলেও চলবে। তবে প্রোফাইল পিকচার গার্ড অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে।
৫# অপরিচিত কারো দেয়া রিকোয়েস্ট এক্সেপ্ট করবেন না। সেক্ষেত্রে আগে নক দিয়ে পরিচিত হয়ে নিতে পারেন।
৬# কারো ছবিতে লাইক দিবেন না। এক্ষেত্রে লাইক, লাভ এবং কেয়ার, এই তিনটা রিয়্যাক্ট গ্যাপ রেখে হাহা রিয়্যাক্ট দিন।
৭# কেউ কোনো পোস্টে ট্যাগ করলে সেটা টাইমলাইনে এ্যাপ্রুভ করবেন না। পারলে ট্যাগ রিমুভ করে দিন। যে ট্যাগ করেছে তাকে নক দিয়ে বলুন, 'আমি আইসোলেশনে আছি৷ মানুষের সাথে যুক্ত হওয়া থেকে বিরত আছি!'
৮# কেউ ভিডিও কল দিলে মোবাইল তিনফুট দূরত্বে রেখে তারপর কল রিসিভ করুন। দরকার হলে পা দিয়ে কল রিসিভ করতে পারেন।
৯# আদারস বক্সের মেসেজ একদমই চেক করবেন না। সেখানে অপরিচিত অনেকেই মাস্ক না পরেই মেসেজ পাঠাতে পারে। আদারস বক্স থেকে দূরে থাকুন!
১০# অপরিচিত কারো পোস্ট শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন। এমনও হতে পারে, শেয়ার করা পোস্টে ভাইরাস আছে৷