নেটফ্লিক্সে সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত 'এক্সট্রাকশন' সিনেমা আছে তুমুল আলোচনায়। সিনেমায় বাংলাদেশের কাহিনী দেখানো হয়েছে বা গল্পের অধিকাংশ ঢাকায়, এটাই যে মূল কারণ এ ব্যাপারে সন্দেহ একেবারেই থাকে না। এক্সট্রাকশন দেখে একেকজন একেক কারণ হতাশ! কেউ 'ঢাকাকে সঠিকভাবে ফুটিয়ে না তোলা'র কারণে, কেউ বা এটা 'হুদাই একটা ফাউল সিনেমা' হওয়ার কারণে। তবে সে যাই হোক, জানেনই তো, বাঙালি যে বাড়াবাড়ি করার ওস্তাদ। এরই মধ্যে অনেকের ফেসবুকে পোস্টেই বেশ খানিকটা বাড়াবাড়ির ইঙ্গিত হয়তো আপনিও পেয়েছেন। আমরা তাই মানসিক প্রস্তুতি নিতে ভাবতে বসেছিলাম, আগামী কয়েকদিনে বাঙালি আরও কত কি বাড়াবাড়ি করতে পারে!
১# থর সিরিজ বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করার দাবির পাশাপাশি আইএমডিবিতে থরের সব মুভির রেটিং নামিয়ে ফেলতে পারে।
২# নেটফ্লিক্স বর্জনের দাবি তুলে নেটফ্লিক্সের ফেসবুক পেজে রিপোর্ট মেরে পেজ খেয়ে দিতে পারে।
৩# এক্সট্রাকশন সিনেমার নায়ক, ডিরেক্টর সহ সব কলাকুশলীর কুশপুত্তলিকা দাহ করতে পারে। কাগজে নাম লিখে কাগজ পোড়ানোর মাধ্যমে অবশ্য প্রতীকী কুশপুত্তলিকাও দাহ করা যায়...
৪# নেটফ্লিক্সের নামে মামলা ঠুকে দেয়া যায় কি না ভাবা যেতে পারে। ব্যারিস্টার সুমনকে বললে উনি ব্যবস্থা করে দিবে...
৫# হ্যাশট্যাশ ব্যানএক্সট্রাকশন দিয়ে এক্সট্রাকশন সিনেমার পোস্টারের উপর ক্রস চিহ্ন মেরে তা প্রোফাইল পিকচার করা যেতে পারে। এক্কেরে সবাই মিলে...
৬# একটা অনলাইন পিটিশনের আয়োজন করা যেতে পারে, নেটফ্লিক্স, ক্রিস, এক্সট্রাকশন, থরসহ সবার বিরুদ্ধে। (ভাই প্লিজ আসলেই কইরেন না -_- )
৭# 'এক্সট্রাকশনের কলাকুশলীদের ফাঁসি চাই' শিরোনামে একটা ফেসবুক ইভেন্ট খুলে হাজার দশেক গোয়িং তোলার চেষ্টাও খারাপ না।
৮# দেশের কোন হ্যাকার গ্রুপকে কনভিন্স করে নেটফ্লিক্সের সার্ভার হ্যাক করার ট্রাই করা যেতে পারে।
৯# নেটফ্লিক্স, ক্রিস, এক্সট্রাকশনের ফেসবুক পোস্টের নিচে বাংলায় গালিগালাজ করে ইংরেজিতে 'Love from Bangladesh' লিখে আসলেও রাগ কমবে।
১০# বাংলাদেশে আর কখনো কোনো সিনেমার শুটিং করা যাবে না, এই দাবি তুলে মানববন্ধন করা যেতে পারে।
[ইটস জাস্ট এ মুভি। প্রিয় দেশ ও জাতি, এতও সিরিয়াস হইয়েন না]