বাংলাদেশি বিজ্ঞানী মুফতি ইব্রাহীমের যে ৯টি বিস্ময়কর আবিষ্কারের কথা আপনি নাও জানতে পারেন

১৮৮৫৭ পঠিত ... ১৪:৩৮, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯

আপনাকে যদি বলি, বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল একজন বাংলাদেশি সায়েন্টিস্টকে নোবেল দিতে না পেরে মৃত্যুর পরও আফসোস ও অপরাধবোধে ভুগে ননস্টপ বুক চাপড়ে যাচ্ছেন! বিশ্বাস করবেন না তো? আপনি বিশ্বাস করেন বা না করেন, আমাদের দেশেই এমন এক সায়েন্টিস্ট আছেন। আমরা আজকে তাকে নিয়েই জানবো। 

তার জ্ঞানের পরিসর দেখে তাকে কেউ কেউ একবিংশ শতাব্দীর সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী কেউ আবার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী বলে থাকেন। তার জ্ঞান গরিমার লেভেল বোঝাতে অনেকেই তাকে ডাকেন ইব্রাহীমস্টাইন নামে। হ্যাঁ, বলছি সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের তথা বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত সায়েন্টিস্ট মুফতি ইব্রাহীমের কথা। জ্ঞান-বিজ্ঞানের অসংখ্য শাখায় একসাথে অবদান রাখায় তার নাম উচ্চারিত হয় আইন্সটাইন, নিউটন, পিথাগোরাস, স্টিফেন হকিং, আর্যভট্ট, নিকোলা টেসলা, এডিসনসহ জ্ঞান-বিজ্ঞানে পৃথিবীর সকল মহারথীদের ছাড়িয়ে।

ইব্রাহীমস্টাইনের তত্ত্বগুলো জনসম্মুখে আসার পর থেকে নড়তে চড়তে শুরু করেছে সারাবিশ্ব। বিজ্ঞানের অনেক প্রতিষ্ঠিত সত্য মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। মিথ্যে হয়ে যেতে পারে চন্দ্র-সূর্যের মতো অনেক ইউনিভার্সাল ট্রুথও। বিজ্ঞানের অনেক শাখার জনকের নাম পরিবর্তন হয়ে সেখানে ইব্রাহীমস্টাইনের নাম লেখার প্রস্তুতিও নিচ্ছে বিজ্ঞানবিশ্ব। ইব্রাহীমস্টাইনের এত বিশাল জ্ঞানের পরিসর দেখে সারাবিশ্বের মানুষের মতো eআরকি টিম এতদিন তব্দা খেয়ে ছিলো। সম্বিৎ ফিরে পেয়েই eআরকি খুলে ফেলেছে ইব্রাহীমস্টাইন রিসার্চ সেল-IRC (আদতে এটা ইব্রাহীমস্টাইন ফ্যান ক্লাব) নামে নতুন এক গবেষণা সেল।

সেই গবেষক সেলই অক্লান্ত পরিশ্রম করে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এই বিজ্ঞানীর আবিষ্কার ও তত্ত্বগুলোকে একসাথ করে তুলে ধরেছে eআরকির পাঠকদের জন্য। 

 

১# ইসহাক নিউটন!

 

মাধ্যাকর্ষণ, আলোর বর্ণালী, ক্যালকুলাসসহ নানাবিধ আবিষ্কারের জন্য আইজ্যাক নিউটনকে ধরা হয় সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী হিসেবে। তবে নতুন এক শব্দবোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে জনাব ইব্রাহীমস্টাইন জানিয়েছেন তাক লাগিয়ে দেওয়া আরেক তথ্য। এর আগে তিনি নিউটনকে চোর আখ্যা দিলেও এবার তিনি জানিয়েছেন, নিউটনের আসল নাম ইসহাক নিউটন। নিউটন মূলত একজন মুসলমান। নিউটনকে তিনি আখ্যা দেন ‘আমাদেরই লোক’ হিসেবে। ধর্মসূত্রে পাওয়া তত্ত্ব থেকেই তার সব মহা মহা আবিষ্কার। অথচ পশ্চিমা বিধর্মী শক্তি এসব আবিষ্কারকে নিজেদের করে নিয়ে মুসলিম বিশ্বকে করেছে বঞ্চিত।

 

 

২# প্যারালাল ইউনিভার্সের বাস্তব অস্তিত্ব

এতদিন ধরে বিভিন্ন বিজ্ঞান কল্পকাহিনী ও বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন কথায় আমরা কেবল প্যারালাল ইউনিভার্স সম্পর্কে একটা অস্পষ্ট ধারণা পেয়ে এসেছি। এই প্যারালাল ইউনিভার্সের বাস্তব অস্তিত্বের কথা কেউ আমাদের এতদিন বলতেই পারেন নি। সেই রহস্যঘেরা ইউনিভার্সের পরিচয় তুলে ধরে বিজ্ঞানের নতুন দ্বার উন্মোচন করলেন স্যার ইব্রাহীমস্টাইন। তিনি শুধু বাস্তব অস্তিত্বের কথাই বলেন নি, এন্টারোকোটিক মহাদেশে নিচ দিয়ে একটি গোপন সুড়ঙ্গের কথা উল্লেখ করে প্যারালাল ইউনিভার্সের পথও বাতলে দিয়েছেন।

 

 

৩# দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের নতুন ইতিহাস (দেখুন ভিডিওসহ)

শুধু বিজ্ঞান না, ইতিহাসেও সমান দখল রয়েছে ইব্রাহীমস্টাইনের। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে এযাবৎকালে হয়েছে বিস্তর গবেষণা। তবে স্যার ইব্রাহীমস্টাইনের নতুন এক অনুসন্ধানী তথ্যমতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে করা সব ইতিহাসই আসলে ভুল। বিশ্বযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে হিটলারের আত্মহত্যার ধারণাটিকে উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেছেন, হিটলার আত্মহত্যা করেন নি। প্রকৃতপক্ষে হিটলার ইব্রাহীমস্টাইনের কাছ থেকে এন্টারোকোটিক মহাদেশের নিচ দিয়ে প্যারালাল ইউনিভার্সের পথ জেনে তার সৈন্যসামন্ত ও জ্ঞানীগুণী নিয়ে সেখানে পালিয়ে গেছেন। ইব্রাহীমস্টাইনের এমন তত্বের পর অনেকে ধারণা করছেন, প্যারালাল ইউনিভার্সে এখনো জার্মান শাসন চলছে এবং হিটলার যেকোনো দিন আমাদের পৃথিবীতে আক্রমণ করবেন। তিনি আরও জানান, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই বেশ অনেকদিন ধরেই আমেরিকা, রাশিয়া, চিন, জাপানকে হিটলারের সম্ভাব্য আক্রমণ সম্পর্কে সাবধানবার্তা দিয়ে আসছে।

 

 

৪# উল্টো সৌরজগতের ধারণা

সূর্য পূর্বদিক থেকে উঠে, পশ্চিমে অস্ত যায়, পৃথিবী সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘোরে; এগুলো দীর্ঘদিনের প্রমাণিত সত্য। অনেক বছর ধরে পৃথিবী ও সূর্য নিয়ে অনেক গবেষণা, সংযোজন, বিয়োজনের পর বিজ্ঞানীরা এরকম একটি প্রমাণিত সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। কিন্তু এই পুরো ব্যাপারটির সম্পূর্ণ উল্টো এক তথ্য হাজির করেছেন ইব্রাহীমস্টাইন। নিজের আমেরিকান শীষ্যকুলের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উঠবে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্র এতটাই দূর্বল হয়েছে যে দু-এক বছরের মধ্যে পৃথিবীর আহ্নিক গতি বন্ধ হয়ে সূর্য পশ্চিম দিক থেকে ওঠা শুরু করবে। ধারণা করা হচ্ছে, তার এই তত্বের ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি থেকে শুরু করে জীবনের সকল ক্ষেত্রে এক বিশাল পরিবর্তন আসবে।

 

 

৫# কলম্বাস, নিউটন, আইন্সটাইন, গ্যালিলিও ও রাইট ব্রাদার্সের চুরির তথ্য ফাঁস

আপনাকে যদি বলা হয়, কলম্বাস আসলে আমেরিকা আবিষ্কার করেনি! অদ্ভূত লাগবে না? এই ঘটনা কিন্তু সত্য। এই সত্য তথ্যটি জনসম্মুখে এনেছেন সত্যান্বেষী ইব্রাহীমস্টাইন। তার তথ্য মতে, কলম্বাস যখন ভারত মহাসাগরে দিশা হারিয়ে ফেলেছিলো, তখন তাকে আল ইদ্রিসি নামের এক ভূগোলবিদ আমেরিকার সন্ধান দেন। কোন মেসেঞ্জার সিস্টেমে এই তথ্য সাগরে ভাসতে থাকা কলম্বাসের কাছে পৌঁছেছিল তা অবশ্য তিনি বলেননি।

এছাড়া এতদিন ধরে ইতিহাসে স্মরণ হয়ে আসা প্রতিথযশা অনেক বিজ্ঞানীকে তিনি চোর বলে আখ্যা দিয়েছেন। এই যেমন নিউটন চুরি করেছেন গ্র্যাভিটির তত্ত্ব। ৫০০ বছর আগের কোন এক বিজ্ঞানীর তত্ত্ব চুরি করেই বিখ্যাত হয়েছেন নিউটন। চুরির প্রমাণ মিলেছে উড়োজাহাজের জনক রাইট ব্রাদার্সের বিরুদ্ধেও। বাগদাদের কোন এক জাদুঘর থেকে এক বিজ্ঞানীর গবেষণাপত্র চুরি করেই উড়োজাহাজ বানিয়েছেন তারা। (যদিও তিনি কোন বিজ্ঞানীর নাম বলতে পারেন নি! নামে কী আসে যায়! কামই আসল।) চোরদের সর্দার হিসেবে আইনস্টাইন ও গ্যালিলিওর নামও ফাঁস করেন এই সত্যান্বেষী।
 

 

 

৬# প্লাস্টিকের হার্ট; চিকিৎসা বিজ্ঞানে নতুন দিগন্ত (দেখুন ভিডিওসহ)

হার্ট সংযোজন বিদ্যা নিয়ে বেশ চাঞ্চল্যকর এক তথ্য দেন ইব্রাহীমস্টাইন। তিনি বলেন, মানুষের জ্ঞান-বিজ্ঞান, মায়া-মমতা, অনুভূতি সবই থাকে আসলে হার্টে এবং এই হার্টকে পরিবর্তন করার মাধ্যমে একজন মানুষের মনকে বদলে ফেলা যায়। আস্তিকের হার্ট নাস্তিককে দিলে সে আস্তিক হয়ে যাবে, আর নাস্তিকেরটা আস্তিককে দিলে তার ক্ষেত্রে ঘটবে উল্টোটা। ডিপ্রেসড মানুষের হার্ট ফুরফুরে, ইতিবাচক কোন মানুষকে দিলে ইতিবাচক মানুষটিও ডিপ্রসড হয়ে যাবে। আর ইতিবাচকেরটা ডিপ্রেসড মানুষকে দিলে হবে তার উলটো! তবে এইদুটো তত্ত্ব নিয়ে নয়, প্লাস্টিকের হার্টের ধারণাটি নিয়েই চলছে হুলস্থুল। ইব্রাহীমস্টাইন বলেন, প্লাস্টিকের হার্ট কারো শরীরে লাগিয়ে দিলে তার ভেতরে প্রেম, মায়া, মমতা, হতাশা, ব্রেকাপের প্যারা কিছুই থাকবে না। এই আবিষ্কারের ফলে পৃথিবী থেকে দুঃখ, হতাশা, প্যারা সব উঠে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে, ইব্রাহীমস্টাইনের এই তত্ত্বের পর উদ্ভাসের তুখোড় ব্যাচের ছেলেমেয়েরা যেকোনো সময় তাদের হার্ট চুরি হয়ে যাওয়ার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।

 

 

৭# জনসংখ্যা বিষ্ফোরণে আগামী পৃথিবীর শাসক হবে বাংলাদেশ (দেখুন ভিডিওসহ)

এখনো পর্যন্ত ধারণা করা হয় পারমাণবিক বোমাসমৃদ্ধ দেশগুলোই সবচেয়ে শক্তিশালী এবং তারাই আগামী পৃথিবীর নিয়ন্ত্রক। আমেরিকা, চিন, রাশিয়া, জাপান, কোরিয়া সবাই পারমাণবিক বোমায় নিজেদেরকে সমৃদ্ধ করার দিকেই এগুচ্ছে। কিন্তু এই সম্ভাবনাকে একদম উড়িয়ে সম্পূর্ণ নতুন এক তত্ত্ব হাজির করেছেন ইব্রাহীমস্টাইন। তার মতে, জনসংখ্যা বিস্ফোরণ পারমাণবিক বোমার চেয়েও শক্তিশালী। পারমাণবিক বোমাকে জনসংখ্যা দিয়েই মোকাবিলা করা সম্ভব। বাংলাদেশের জনসংখ্যা গ্রোথ দেখে আমেরিকা, রাশিয়ার মতো নিউক্লিয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন দেশগুলোর কপালেও পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। বিশ্ব রাজনীতি থেকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ হারানোর ভয়ে কেউ দুই সন্তান নিলেই নাকি তারা ৫০,০০০ টাকা করে মাসিক বেতন দিচ্ছে বাবা-মায়েদের। তাও বাংলাদেশকে মোকাবিলার জন্য পর্যাপ্ত জনসংখ্যা বাড়াতে পারছে না। নিজের উদাহারণ দিয়ে ইব্রাহীমস্টাইন বলেন, তিনি নিজে ১১টি সন্তান নিয়েছেন। বাকিরা যেন এমন ১১ টি পারমাণবিক বোমা মানে বাচ্চাকাচ্চা নেন। এরপর আমরা সারাবিশ্ব দখল করে নিবো। খেলা হবে......

 

 

৮# ইভিল বা অশুভ শক্তি মারার ভ্যাকসিন; HIV ভাইরাস

 

প্রাচীন মিথোলজি, ৯০ দশকের বিটিভির আলিফ লায়লা থেকে শুরু করে বর্তমান মার্ভেল ও ডিসি ইউনিভার্সে ইভিল বা অশুভ শক্তিকে মারতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে আমাদের প্রিয় সুপারহিরোদের। নানান দেশ থেকে টোটকা খুঁজে নিয়ে তারপর সিনেমার ভিলেনকে বধ করতে হতো! সুপারহিরোদের এই চিন্তা থেকে মুক্ত করে ইভিলমুক্ত ইউনিভার্স ও অল্টারনেট ইউনিভার্স বিনির্মাণে নতুন এক ভ্যাকসিনের ধারণা নিয়ে এসেছেন ইব্রাহীমস্টাইন। এই ভ্যাকসিনের নাম HIV ভাইরাস। হ্যাঁ, আমাদের পরিচিত এইডস-এর ভাইরাসই। মূলত প্রাচীন যুগের বিবাহিত মানুষদের অন্যের সাথে যৌনক্রিয়ায় লিপ্ত হওয়ার পর গোল গোল পাথর মেরে শাস্তি দেয়ার ধারণা থেকেই এর উৎপত্তি। ইব্রাহীমস্টাইন বলেন, প্রাচীন এই প্রথার সাথে মিল রেখেই মূলত ইভিল মারা এই HIV ভাইরাসও পাথরের মতো গোল হয়।

 

 

৯# নাসার নতুন শাখার প্রবর্তক

নাসাকে একটি মহাকাশ গবেষণা সংস্থা হিসেবে জেনে আসলেও নাসার আরও নানাবিধ গোপন কর্মকাণ্ডের গোমর ফাঁস করেছেন স্যার ইব্রাহীমস্টাইন। তিনি জানান, নাসা মেডিকেল সায়েন্স, পাবলিক হেলথ ও ইতিহাস নিয়েও কাজ করে। জনাব ইব্রাহীমস্টাইনকেই নাসা’র এই নতুন শাখার পরিচালক ও প্রবর্তক বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই গুণী বিজ্ঞানী তার মেডিকেল সায়েন্স ও ইতিহাস নিয়ে করা বিভিন্ন তত্ত্বে নাসার বিভিন্ন গবেষণার কথা উল্লেখ করেন। নাসা’র এই নতুন শাখার কথা হয়তো নাসা’ই এতদিন লুকিয়ে রেখেছেন অথবা জনাব ইব্রাহীমস্টাইন একাই এই শাখার গবেষক, পরিচালক, প্রবর্তক হতে পারেন। 

 

আরও পড়ুন-

করোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে 'ড: ইব্রাহীমস্টাইন মেমোরিয়াল হসপিটাল'

 

১৮৮৫৭ পঠিত ... ১৪:৩৮, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯

Top