যে ১০টি মনস্তাত্ত্বিক উপায়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা ‘গোলাপি’ টেস্টের প্রস্তুতি নিতে পারেন

১০৩৮ পঠিত ... ২১:০০, নভেম্বর ২১, ২০১৯

কলকাতার ইডেন গার্ডেনে হয়ে গেলো ‘গোলাপি টেস্ট’। ভারত ও বাংলাদেশ দুই দলই প্রথমবারের মতো খেললো দিবারাত্রির টেস্ট, অর্থাৎ গোলাপি বলে দুই দলের এটিই প্রথম খেলা। কিন্তু আমাদের খেলোয়াড়রা তো এখনো লাল বলেই ঠিকঠাক অভ্যস্ত হতে পারেননি, তার মধ্যে আবার গোলাপি বল? মাঠের পাশাপাশি মাঠের বাইরেও তাই প্রয়োজন বাড়তি প্রস্তুতি! বাংলাদেশ জাতীয় পুরুষ ক্রিকেট দলের জন্য eআরকির ‘গোলাপি গবেষণা সেল’ নিয়ে এসেছে গোলাপি বলে ভালো করার চমকপ্রদ সব পদ্ধতি। 

১# তিনটা ‘বোম্বাস্টিং হিট’ সিনেমা আছে। প্র্যাকটিসের ফাঁকেই দেখতে বসে যেতে পারেন- গোলাপি এখন ট্রেনে, গোলাপি এখন ঢাকায়, গোলাপি এখন বিলেতে। মনে মনে ভেবে নিতে পারেন- ‘গোলাপি এখন ইডেনে’ সিনেমাটা এখনও পর্দায় আসার বাকি। আগের তিনটা মুভিতে হিরো হবার সুযোগ না থাকলেও, চার নম্বরটাতে হিরো হবার সুযোগ তাঁদের আছে। মোটিভেশন হিসেবে খারাপ না।

২# গোলাপি বলের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে শুনতে পারেন বিখ্যাত ব্যান্ড পিংক ফ্লয়েডের সাইকেডেলিক সব গান। একটি টেস্ট আড়াই দিনে শেষ হয়েছে দেখেই জীবন থেমে থাকতে পারে না। ডেভিড গিলমোরের কণ্ঠে ‘Coming Back to Life’ শুনতে শুনতে বাংলাদেশ দলও ফিরে আসতে পারে সুস্থধারার ক্রিকেটীয় জীবনে। 

অবশ্য পিংক ফ্লয়েড শুনতে গিয়ে একটু সতর্কতার সাথে গান বাছাই করতে হবে। অন্যথায় ভুল গান শুনে বিষাদগ্রস্থতা ও নিহিলিস্ট ধারণায় ডুবে গিয়ে ক্রিকেট দল খেলাধুলা ছেড়ে হিমালয়ে ধ্যান করতে চলে যেতে পারে। 

৩# মন ফুরফুরা করতে ঘুরে আসতে পারেন গোলাপি শহর জয়পুরে। সেখানে পিংক প্যালেস দেখবেন, ভুলভুলাইয়া দেখবেন। ভুলভুলাইয়ার ভেলকিবাজিতে পথ হারিয়ে স্পিনাররা পেয়ে যাতে পারেন গোলাপি বলে ভেলকি দেখানোর দীক্ষা। আর বিদেশি শিক্ষায় মন না টানলে ইউটিউবে ঘুরে আসতে পারেন আমাদের গুলশানের পিংক সিটি মার্কেট!

৪# মরমি গায়ক শরিফউদ্দিনের ‘ও বন্ধু লাল গোলাপি’ (পরবর্তীতে ‘অল টাইম দৌড়ের উপর’ টেলিফিল্মের জন্য রিমেক করা হয়) গানটা শুনতে পারেন। লাল আর গোলাপি বলের পার্থক্য বুঝতে মানসিক বুস্ট দিতে পারে।

৫# গোলাপি শুধু ডে-নাইট টেস্টের বলেরই রঙ নয়, ক্যান্সার নিয়ে সচেতনতার প্রতিকী রঙও। ক্যান্সার জয় করতে যে দুর্দমনীয় মনোভাবের দরকার, খেলার মাঠে ক্রিকেটাররা তার কিয়দাংশ নিয়ে আসতে পারলেও ম্যাচ নিয়ে আর কোন চিন্তা নেই।

৬# বসন্তের প্রথম চাঁদকে কী বলে জানেন তো? পিংক মুন। ব্যাটসম্যানরা আকাশের ঐ চাঁদকে বানাতে পারেন লক্ষ্যসীমা। ভারতীয় বোলারদের বল সপাটে উঠিয়ে দিতে পারেন দিগন্তে। বসন্ত আসার আগেই ইডেনের আকাশ দেখুক এমন বেশ কিছু গোলাপি চাঁদ। তবে ইয়ে, দিগন্তে ওঠানোর পর সে গোলাপি চাঁদ যেন মাঠের ভেতরে ফিল্ডারের তালুতে না জমা পড়ে বরং মাঠের বাইরে যেন আছড়ে পড়ে, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে!

৭# কলকাতার বাজারেও গোলাপি রঙের হাওয়াই মিঠাই পাওয়া যাবার কথা। ক্রিকেটাররা আনিয়ে খেতে পারেন। এতে কী লাভ? লাভ হবে দুই ধরনের। এই যে হাওয়াই মিঠাই মুখে দিলেই হুট করে মিলিয়ে যায়- তাতে খেলোয়াড়দের দাঁত-জিভ রঙিন হবে, ফেলে আসা ছেলেবেলাটাও রঙিন হয়ে উঠবে। আরেকটা হলো, গোলাপি হাওয়াই মিঠাইয়ের মতো গোলাপি বলের ম্যাচ হাইলাইটসটাও যেন ভবিষ্যতের জন্য কোন কোন টিভি চ্যানেল থেকে হাপিশ করে দেয়া যায়, সে ব্যাপারে ক্রিকেটাররা নতুন করে উজ্জীবিত হয়ে উঠবেন।

৮# বুকপকেটে একটা গোলাপ নিয়ে খেলতে নামতে পারেন। এতে গোলাপি বল দিয়ে খেলার একটা মুড হলেও আসতে পারে। আর জানেন তো, ক্রিকেট একটা মনস্তাত্ত্বিক খেলা!

৯# কার্টুনিস্ট প্রাণের বিখ্যাত কমিক সিরিজ ‘পিংকি’ পড়া শুরু করতে পারেন। মুহূর্তেই ‘সাদাকালো এই জঞ্জালে ভরা মিথ্যে কথার’ বাস্তবতা থেকে হারিয়ে যাবেন রঙিন ছেলেবেলায়। পেয়ে যাবেন প্রতিপক্ষকে কুপোকাত করার ১০১টি পদ্ধতি।

১০# এটি একটি রাজনৈতিক পদ্ধতি… আচ্ছা, না, থাকুক। উনি তো জেলে।

১০৩৮ পঠিত ... ২১:০০, নভেম্বর ২১, ২০১৯

Top