ব্যাচেলর জীবনের কয়েকটি অলিখিত নিয়মাবলি

২৮৬২ পঠিত ... ১৩:৩৭, জুলাই ২২, ২০১৯

একজন ব্যাচেলরের বাঁধাছাড়া জীবনে এমন কিছু নিয়ম আছে, যেগুলো স্থান-কালভেদেও কখনো পরিবর্তিত হয় না। এসব নিয়ম কোথাও লিপিবদ্ধ না থাকলেও সব ব্যাচেলরের জন্যই প্রায় ৯৯% সত্য। চলুন দেখে নেই, ব্যাচেলর জীবনের এই শাশ্বত সত্যগুলো কী কী!

 

* ঘরের চেয়ার বা সোফা ধরনের যেকোনো কিছু হলো আলনা। দরজার ওপরের কোনাও আলনা। খাটে স্ট্যান্ড থাকলে সেটাও আলনা।

* মশারির চার কোনার মধ্যে দুই কোনা জীবনে একবারই লাগাতে হয়। বাকি দুই কোনা খোলা হলেও ওই দুই কোনা আজীবন লাগানোই থাকবে।

* চায়ের কাপ বা বোতলের ক্যাপ ধরনের যেকোনো কিছু হলো অ্যাশ-ট্রে। ফুলের টবও অ্যাশ-ট্রে।

* কোনো কাপড় মেঝেতে পড়ে গেলে সেটা তাৎক্ষণিকভাবে ন্যাকড়ায় পরিণত হবে। পরে বুয়া বা অন্য কোনো সহৃদয় ব্যক্তি তা ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করলে জানা যাবে সেটা পরিধানযোগ্য কাপড় ছিল।

* পানি যদি বোতলে ভর্তি করে খাটের পাশেই রাখা থাকে, তাহলে পানির তেষ্টা পেয়েছে বলে ধরে নেওয়া যাবে। যদি পানি আনতে অন্য ঘরে যাওয়ার প্রয়োজন হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে পানির তেষ্টা পায়নি।

* বাথরুম ছাড়া সব রকম কাজ খাটেই করা সম্ভব। এ জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সবকিছু বিছানার আশপাশেই রাখতে হবে।

* দেশের জাতীয় খেলা হাডুডু হলেও ব্যাচেলরদের জাতীয় খেলা টুয়েন্টি নাইন। যে জন টুয়েন্টি নাইন জানে না, তার সঙ্গে কোনো লেনাদেনা নাই!

* টুথব্রাশ ও অন্তর্বাস ছাড়া বাকি যেকোনো কিছু একজনের থাকলেই অন্য কেউ ব্যবহার করতে পারবে। সর্বজনীনতার এ তালিকায় সবার ওপরে অবস্থান লুঙ্গির। তারপর স্যান্ডেল, গামছা ইত্যাদি ইত্যাদি।

* খাওয়ার পর এঁটো প্লেট রান্নাঘরে রেখে আসা পৃথিবীর সবচেয়ে পরিশ্রমের কাজ। এঁটো প্লেট এবং অন্যান্য তরকারির বাটি রাখার আদর্শ জায়গা খাটের পাশে অবস্থিত টেবিল।

* প্রতিটি ব্যাচেলর রুমে কেউ বাজাক না বাজাক, একটা গিটার থাকা আবশ্যক। এটা বেশির ভাগ সময়ই প্রোফাইল পিকচার তোলার সময় ভাব নেওয়ার সরঞ্জাম, পেপার ওয়েট, শোপিস ইত্যাদি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

* পারফিউম, বডি স্প্রে—এমন যেকোনো কিছু মানেই হলো এয়ার ফ্রেশনার। সাধারণত সোফার নিচে মাস খানেক ধরে পড়ে থাকা কাপড়চোপড় পরিধানযোগ্য করার জন্য এবং বিশেষ কেউ ঘরে আসলে ঘর সিস্টেমে আনার জন্য তা প্রয়োজন হয়।

২৮৬২ পঠিত ... ১৩:৩৭, জুলাই ২২, ২০১৯

Top