যে ১০টি কারণে আপনি হল/হোস্টেলের মেয়েদের বিয়ে করবেন

৩০৯৪ পঠিত ... ২০:১৯, জুন ১৯, ২০১৯

আপনি কি একজন অবিবাহিত পুরুষ? বিয়ে করার জন্য পাত্রী খুঁজছেন? তাহলে বিশ্বাস করুন, এই লেখাটি আপনার জন্যই। বিয়ে করতে হলে অবশ্যই হলে বা হোস্টেলে থাকা কোনো মেয়েকে বিয়ে করুন, এর চেয়ে ভালো পাত্রী আর কোথাও পাবেন না। কেন? নিচের ১০টি কারণ পড়লেই বুঝতে পারবেন।

আপনি কি হলে বা হোস্টেলে থাকা মেয়ে? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্যও। পড়ুন, রিলেট করুন, এবং শেয়ার করে অন্যদেরকে দেখিয়ে দিন, পাত্রী হিসেবে কেন আপনিই সেরা! 'জীবন থেকে নেয়া' টাইপ গবেষণা করে এসব কারণ খুঁজে বের করেছেন প্রীতি পালনাবিলা কবির

১# হলের মেয়েরা ছুটির দিনে সকাল ১০-১২টার আগে ঘুম থেকে উঠবে না। তাই সে সকাল সকাল আপনাকে বাজারের ব্যাগ ধরিয়ে দেবে না। আপনিও তার সাথে বেলা করে ঘুমাতে পারবেন!

২# তারা দৈনিক ৮০/১০০ টাকার মধ্যে খাওয়া-দাওয়া, যাতায়াত সবকিছু ম্যানেজ করে নিয়ে অভ্যস্ত। ১০ টাকায় ডিনার করেও তারা দিন কাটিয়ে দিতে পারে। তাই আপনি আপনার সংসারের খরচ নিয়ে নির্ভয়ে থাকতে পারেন।

৩# হলে/হোস্টেলে থাকা মেয়েকে শপিংয়ে নিয়ে গেলেও আপনি নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন। পুরো ছাত্রজীবন নিউমার্কেটে কাটিয়ে দেয়ায় ৪০০০ টাকার শাড়ি ৫০০ টাকায় নিয়ে আসা তার কাছে কোন ব্যাপারই না।

৪# তাদের জন্য সোয়ান ফোম, প্যারিসের সুগন্ধি, মার্বেল শোপিস... কিছুই লাগবে না। গণরুমে দিন কাটানো মেয়ে একটা ছোটখাটো রুমেও একচ্ছত্র আধিপত্য পেলেই মহাখুশি হবে।

৫# ঘর এলোমেলো করে রাখলেও তারা বিন্দুমাত্র চিল্লাপাল্লা করবে না। কারণ এই পরিবেশে তারা খুবই অভ্যস্ত।

৬# শ্বাশুড়ি ননদের সাথে তার কোনো ঝামেলা হবে না। কারণ তারা গণরুমে ওড়না থেকে শুরু করে জুতা, কম্বল সবকিছু শেয়ার করে আসছে, বিরক্তিকর হাজারো রুমমেটকেও কোনো গ্যাঞ্জাম না করেই সহ্য করে আসছে!

৭# ক্যান্টিনের খাবার খেতে খেতে অতিষ্ট এই জাতি রান্না করার সুযোগ পেলে তারা অবশ্যই তার সদ্ব্যবহার করবে। নিজে আয়েশ করে খাবে। সাথে আপনাকেও খাওয়াবে।

৮# কেউ না বলে ব্যক্তিগত জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়া, মনোযোগ দিয়ে পড়ার সময় পাশের বেডের মেয়েদের গল্পের আসর, সকালে বাথরুমের লম্বা লাইন, সবই হলে থাকা একজনকে অতিমাত্রায় সহনশীল করে তোলে। আর দুনিয়ার মোটামুটি কোন কিছু তাদের মনোযোগ বিক্ষিপ্ত করতে পারে না।

৯# রাতে কাজ করবেন, অথচ লাইট জ্বালিয়ে রাখলে বা শব্দ করলে বৌ চেঁচামেচি করে, এমনটা কখনই আপনার সাথে হবে না। কারণ হলে থেকে শত প্রতিকূলতার মাঝেও কিভাবে ঘুমাতে হয় তা তার আগে থেকেই রপ্ত করা আছে।

১০# সব জায়গাতেই সে সময়ের আগে পৌঁছে যাবে। কারণ রাতে হল বন্ধ হওয়ার ০.২৫ মিনিট আগে হলেও দরজায় পৌঁছে যাওয়ার তার অভ্যাস আছে।

সর্বোপরি, তারা আপনাকে হলের ফ্রি ওয়াই ফাইয়ের মতো নিঃশর্তভাবে ভালবাসবে। অতএব, এখনই ভেবে দেখুন...

৩০৯৪ পঠিত ... ২০:১৯, জুন ১৯, ২০১৯

Top