বৃষ্টি হলেও যে ৬টি উপায়ে খেলা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব

৫৪৭ পঠিত ... ১৮:১৩, জুন ১১, ২০১৯

ক্রিকেট ম্যাচের একটি অন্যতম বিষফোঁড়া হলো বৃষ্টি। বৃষ্টিতে ফুটবল খেলা আরামসে চললেও, ক্রিকেট খেলার কোন সুযোগ নেই। বরং বৃষ্টির হাত থেকে মাঠ ও উইকেটকে বাঁচিয়ে রাখতে প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু বৃষ্টি হলেই কি থামিয়ে দিতে হবে ক্রিকেট ম্যাচ? বিশেষ করে যখন এমন বর্ষাকালে স্বয়ং বিশ্বকাপ হয় ইংল্যান্ডে। প্রায়শই পণ্ড হচ্ছে ম্যাচ, আর পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হচ্ছে দলগুলোর। কিন্তু এভাবে আর কতোদিন চলা যায়! তাই eআরকি ভেবেছে বিকল্প সব পদ্ধতি। বৃষ্টি এলেও পয়েন্ট ভাগাভাগি না করে কীভাবে ফলাফল নির্ধারণ করা যায়, তারই কিছু নিনজা টেকনিক দেখে নিন।

১# বৃষ্টি নিরোধক পদ্ধতি

দৈনন্দিন জীবনে বৃষ্টি থেকে বাঁচতে যদি ছাতা, রেইনকোট ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারি তাহলে খেলার মাঠে এসবের ব্যবহার করতে পারব না? বৃষ্টিবিঘ্নিত ক্রিকেট ম্যাচে খেলোয়াড়রা রেইনকোট পরে নামতে পারেন। উইকেটের দুই প্রান্তের ব্যাটসম্যানের মাথার উপর থাকতে পারে ভাসমান ছাতা। আম্পায়ারের জন্যেও থাকতে পারে ছাতা। ফিল্ডার-বোলাররাও থাকবেন রেইনকোটে আবৃত। আউটফিল্ড একটু স্লো হলেই কী, খেলা চলতেই পারে।

 

২# শামিয়ানা পদ্ধতি

ছাতা বা রেনকোটের সাহায্য নিয়ে খেলা চালানো যদি অনেক ঝামেলার মনে হয়ে থাকে তাহলে সহজ পন্থা হিসেবে আছে শামিয়ানা। যেহেতু পিচই ক্রিকেট মাঠের প্রাণভোমরা, তাই শুধুমাত্র পিচে উপর একটি উঁচু শামিয়ানা ঝুলিয়ে দিয়ে খেলা চালিয়ে নেওয়া যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে ব্যাটসম্যানদের ক্যাচ আউটের সম্ভাবনা কমে যাবে। তাই শামিয়ানায় সরাসরি উড়ে গিয়ে বল লাগলে আউটের নিয়ম করা যেতে পারে।

৩# ক্রিকেটের বদলে ফুটবল খেলে

উপরের দুটি নিয়মে ক্রিকেট খেলাকে যদি বেশি কষ্টসাধ্য মনে হয়, সেক্ষেত্রে বৃষ্টিতে ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা যেতে পারে। ফুটবল পৃথিবীর জনপ্রিয়তম খেলা, তাই সব ক্রিকেটাররাই ফুটবল খেলা জানেন। আর বৃষ্টিতে ফুটবল খেলা শুধু চলে না, বরং দৌড়ায়! তাই বৃষ্টিবিঘ্নিত ক্রিকেট ম্যাচকে ফুটবল ম্যাচে বদলে নিয়ে সেই ম্যাচের ফলাফলের উপর ভিত্তি করে জয়-পরাজয় নির্ধারণ করা যাবে। আর ইংল্যান্ডের ক্রিকেট মাঠগুলো এমনিতেই চার-পাঁচ কোণা, তাই ফুটবল খেলার মাঠ বানিয়ে নিতেও কোন সমস্যা হবে না।

 

৪# কাগজে কলমে

যদি ক্রিকেটাররা মাঠে নেমে উপরে বর্ণিত পদ্ধতিতে ক্রিকেট কিংবা বৃষ্টিতে ফুটবল খেলে জার্সিতে কাদা মাখানোর রিস্ক না নিতে চান (অর্থাৎ তাদের যদি সার্ফ এক্সেল না থাকে আরকি! তাহলে হাতে কলমে ক্রিকেট খেলা যেতে পারে। একটা সময় আমরা সবাই-ই খাতায় একটা বৃত্ত অর্থাৎ স্টেডিয়াম এঁকে তাতে চোখ বন্ধ করে ক্রিকেট খেলেছি। বৃষ্টিবিঘ্নিত দিনে তাই ড্রেসিংরুমে বসেই দুইদলের খেলোয়াড়রা আরামে ক্রিকেট ম্যাচ শেষ করে নিতে পারেন।  

 

৫# সবাই মিলে কম্পিউটারে ক্রিকেট ২০০৭ খেলা শুরু করে

ক্রিকেট টু থাউজেন্ড সেভেন গেমটি খেলার মাধ্যমেও ম্যাচে জয়-পরাজয়ের নিষ্পত্তি করা সম্ভব। এমনিতেই আজকালকার ক্রিকেটে অনেক বেশি রান হয়, চার-পাঁচশ রানও কোন বিষয় না। তাই ক্রিকেট-২০০৭ গেমের পাহাড়সমান রানকেও খুব একটা অবাস্তব মনে হবার কথা না। আর এই ম্যাচের রান-উইকেট এসবও যোগ হতে পারে ক্রিকেটারদের পরিসংখ্যানে।

 

৬# ফেসবুকীয় বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে

তবে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ফলাফল পাওয়ার সবচেয়ে কার্যকরী পদ্ধতিটি হচ্ছে ফেসবুক মতামতের ভিত্তিতে জয়ী নির্ধারণ করা। দীর্ঘদিন ধরেই ফেসবুকে বাংলাদেশি ফেসবুকাররা খেলা নিয়ে বিশেষজ্ঞ মতামত দিয়ে আসছেন। দল নির্বাচন, ব্যাটিং পজিশন, শট সিলেকশন, ফিল্ডিং প্লেসমেন্ট সবকিছু নিয়েই সিদ্ধান্ত ঠিক করে দেন তারা। তাই এই বিশেষজ্ঞ মতামতের উপর ভিত্তি করেই জয়ী দল নির্ধারণ করা সম্ভব।  

৫৪৭ পঠিত ... ১৮:১৩, জুন ১১, ২০১৯

Top