যে ৮টি ধরনের প্রচারণায় উত্তর ঢাকার মেয়র নির্বাচনের খবর পাবলিককে জানানো যেতে পারে

১০৩৯ পঠিত ... ১৬:৪৪, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৯

নির্বাচনপাগল জাতি হিসেবে আমাদের একটা শক্ত ইমেজ আছে। নির্বাচন এলেই আমরা সব কিছু ভুলে গিয়ে মেতে উঠি ভোটাভুটি নিয়ে। নির্বাচন যেন আমাদের কাছে আরেকটা ইদ। ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন, অথচ এটি নিয়ে কোন সাড়া শব্দই নেই কোথাও। নির্বাচনী হাওয়া যেন অনেক উঁচুতে বইছে। নির্বাচনী উত্তাপ প্রচণ্ড রকম অনুপস্থিত, প্রচারণাও যেন চলেছে একেবারেই ঢিমেতালে। এমতাবস্থায় ঠিক কীভাবে প্রচারণা করলে গণমানুষকে এই নির্বাচনের কথা জানানো যায়, তা ভাবতে বসেছিল eআরকি! মেয়র প্রার্থীগণ, খেয়াল করুন!

 

১# প্রচারণায় আপেল, কমলা, চকলেট, স্ট্রবেরি ইত্যাদি ব্যবহার করা যেত। প্রার্থী মিছিলে একটি ছাদখোলা গাড়িতে দাঁড়িয়ে জনগণের উদ্দেশে কমলা বা চকলেট ছুড়ে মারলে কৃতজ্ঞতাস্বরূপ সাধারণ জনগণ মেতে উঠতেন নির্বাচন নিয়ে।

২# একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সাথে ‘মানিক ভাইয়ের সালাম নিন’ গানটি একরকম সমার্থক হয়ে গেছে। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়েও যদি এমন ‘ক্যাচি’ গান গাওয়া হতো, তাহলে নির্বাচনও পেতে পারত দুর্দান্ত এক প্রমোশন।

 

৩# সানাই কি শুধু বিয়েতেই বাজে? নির্বাচনী প্রচারণাতেও বেজে উঠতে পারত সানাই। সানাইয়ের মধুর সুর সবাইকে সব ভুলিয়ে বিভোর করে দিতে পারত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে।

 

৪# প্রার্থীরা যদি গাড়ি থেকে নামার সময় সাদামাটাভাবে দরজা খুলে না নেমে কিঞ্চিৎ অ্যাডভেঞ্চার করে জানলা দিয়ে বের হয়ে ফাঙ্খা দিয়ে নামতেন, তাহলে হয়ত নির্বাচনের পাশাপাশি তারাও জনপ্রিয়তা পেতেন।

৫# সবাইকে জানিয়ে দেওয়ার কাজটি বাংলাদেশে নিঃসন্দেহে সবচাইতে ভালো পারেন ব্যান্ড তারকা জেমস। তার সাথে যোগাযোগ করলেই তিনি পারতেন তারায় তারায় রটিয়ে দিতে আসন্ন মেয়র নির্বাচনের কথা।

 

৬# অদ্ভুত নির্বাচনী উত্তাপহীন এই সময়ে প্রচুর পরিমাণে নির্বাচনী পোস্টার জড় করে যদি আগুন ধরিয়ে দেওয়া যেত, তাহলে সেই আগুনের তাপে সবাই নির্বাচনী উত্তাপ অনুভব করত।

 

৭# পুরো ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে চলা বইমেলায় নির্বাচনী ইশতেহারগুলো নিয়ে প্রকাশিত হতে পারত বই। অবশ্য বই তো কতই প্রকাশিত হয়। ইশতেহারকে বই বানিয়ে ফেললে কোন লাভ হবার কথা না। কিন্তু যদি বাংলা একাডেমিকে দিয়ে মেলায় বইয়ের বিক্রি ও প্রদর্শনী বন্ধ করে দেয়া যেত, তাহলেই হয়ে যেত এক দফা নেগেটিভ মার্কেটিং।

 

৮# '২৮ ফেব্রুয়ারি উত্তর ঢাকা সিটি কর্পোরেশন উপনির্বাচন, মেসেজটি ২০ জনকে ফরোয়ার্ড করুন, নাহলে আপনার ভোটটি অন্য কেউ দিয়ে দেবে' এই ধরনের মেসেজ ফেসবুকে ছড়িয়ে দিলে খুব দ্রুত গণমানুষ মেসেজ ফরোয়ার্ড করতে করতে নির্বাচনের কথা জেনে যাবে বলে আমাদের বিশ্বাস!

১০৩৯ পঠিত ... ১৬:৪৪, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৯

Top