ইউনুস কেন আসামী

১৬৭ পঠিত ... ১৭:৫২, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২৩

ইউনুস-কেন-আসামী

পিটার হাঁস পুলিশ সদর দপ্তর পরিদর্শন শেষে সন্তোষ প্রকাশ করেন হারুনের ভাতের হোটেল থেকে আসা হাঁসের মাংস ও গোয়েন্দা হাজির বিরিয়ানির আপ্যায়নে। তিনি বলেন, ‘ডিম সেদ্ধ করে ডিপফ্রিজে রেখে তারপর ভুনা করে দিয়ে দেয়া হয়েছে বিরিয়ানির মধ্যে।‘

গুম দিবস সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘হারুনের ভাতের হোটেলের সুস্বাদু খাবার গ্রহণের পর গুম হয়ে গেলেও দুঃখ থাকে না। পশ্চিমে যেসব বিস্বাদ খাবার খেয়ে আমরা বেঁচে থাকি তা অর্থহীন।‘

আসন্ন নির্বাচন প্রসংগে তিনি বলেন, ‘ভালোমন্দ খাবারের রেসিপি যিনি দিতে পারেন, তিনিই সর্বোৎকৃষ্ট নেতা।‘

অধ্যাপক ইউনুসকে রক্ষার জন্য নোবেল বিজয়ী ও নাগরিক নেতাদের লেখা চিঠি প্রসংগে তিনি বলেন, ‘চিঠির ইংরেজিটা বেশি সহজ হয়ে গেছে। গ্রামদেশে যদি ইংরেজি কঠিন না হয়, সহজেই বুঝতে পারলে সে ইংরেজি গুরুত্ব পায় না। চিঠিটি এংলো স্যাক্সন যুগের চসারীয় ইংরেজি রীতিতে লেখা উচিৎ ছিল।‘

অধ্যাপক ইউনুসের পরিণতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বেলারুশে শতভাগ ভোট পাওয়া উন্নয়নের সরকারের অনুগত বিচার বিভাগ যেমন নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী আলেমকে দশ বছরের জেল দিয়েছে। ভারতে অমর্ত্য সেনকে অত্যাচার করা হচ্ছে, পাকিস্তানে প্রফেসর সালামকে অত্যাচার করা হয়েছে। আমি মনে করি এরকম দেশগুলোতে নোবেল বিজয়ী মনীষী প্রয়োজন নেই। এসব সমাজে ভাতের হোটেল আর রান্নার রেসিপিই একমাত্র পছন্দনীয় পেশা ও শিক্ষা। এসব সমাজের লোক মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ায় বিজয়ী হলে দেখবেন, সহমত শিবব্রত রহমত শরিয়ত সবাই তাকে মাথার তুলে নাচবে। পেট ও -ট ভিত্তিক সমাজে ইউনুস একজন অপ্রয়োজনীয় মানুষ।‘

পিটার হাস বলেন, ‘ইউনুসের ক্ষুদ্র ঋণ ও সামাজিক ব্যবসা মডেল ভারত পাকিস্তান আফঘানিস্তান আফ্রিকা এমেরিকা ইউরোপ সর্বত্র সফল। শুধু বাংলাদেশে তিনি আসামি। পশ্চিমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউনুস পাঠ্য কিন্তু বাংলাদেশে মধুমতী খালে ইঁচা মাছ ধরে পুঁটি মাছ ধরে পুঁটিয়া স্কুল থেকে টেনেটুনে ম্যাট্রিক পাশ করা লোকটিও ইউনুসের অর্থনৈতিক সূত্র নাকচ করে দেয়। অতএব ইউনুস ভুল করেছেন। উনার উচিত ছিলো এদেশের কোন পুঁটিমারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হয়ে রংগভবনের তেলান্জলির আসরের জোকার হওয়া। এই সমাজটি জোকার ভিত্তিক একটি রংগশালা।‘

ইউনুসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘থাগস অফ বেংগলের অফশোর অ্যাকাউন্ট আর সেকেন্ড হোমের অবৈধ জগতটির এক্সরে রিপোর্ট আমাদের হাতে। এদেশে প্রচলিত ‘চোরের মায়ের বড় গলা’ প্রবাদটির বদলে এখন ডাকাতের মায়ের বড় গলা করা উচিৎ।‘

ইউনুস সম্পর্কে বাতাবি লেবু মিডিয়ার অনুসন্ধানী প্রতিবেদন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘একটি শ্যামল প্লটের জন্য লালায়িত সাংবাদিকেরা সরকারের অনুগ্রহকে রুপার চেয়ে দামী ও বাবুগিরির একমাত্র পথ বলে মনে করে। সরকার চাইলে এরা গডের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানী প্রামাণ্য চিত্র বানাতে পারে। অথচ দলীয় গডফাদারের দুর্নীতির ব্যাপারে স্পিকটি নট এই দলান্ধ সিঙ্ঘ-সাংবাদিকেরা।‘

প্রটেক্ট ইউনুস বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপ এমন অভিযোগ করলে তিনি বলেন, ‘থার্ড ক্লাস না পেলে যেখানে বিচারের দণ্ড পাওয়া যায় না, সেখানে কী আর বলবো বলুন। ভারত পাকিস্তানের বিচারপতিরা পশ্চিমের নামজাদা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারী। আর এখানে ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ করেছে কীনা সেটাই মূল বিবেচ্য বিষয়। কাজেই এখানকার বিচারকাজ রংগভবনের রেসিপিতে রায় রান্না করার মতো সুস্বাদু একটা ব্যাপার। ছাত্রলীগের মায়ের বড় গলাই হচ্ছে আইন।

ইউনুসের মূল অপরাধ কী এ প্রশ্নের জবাবে পিটার বলেন, ‘এ দেশে দুটি মাজার আছে, মাজার দুটির সহমত ও রহমত খাদেম আছে যাদের পেট চলে ভক্তির বিনিময়ে খাদ্য প্রথায়। ভারতের আম আদমি বা পাকিস্তানের পিটি আই এর মতো পরিবারতন্ত্রের মাজার বিবর্জিত তৃতীয় রাজনৈতিক দল তৈরির মনোবাসনা ব্যক্ত করেছিলেন ইউনুস। দুই মাজারের খাদেম  সহমত ও রহমতের দলান্ধ ক্ষুধার্ত পেটে লাথি পড়ার আশংকায় তারা ইউনুসের ওপর এতো রেগে যায় যে পনেরো বছর পরেও রাগে থরথর করে কাঁপে তাদের পাকস্থলী। কারণ সহমত খাদেমগুলো আগে ভাত খেতো এখন মানুষ খায় গুম করে। ইউনুস ক্যানিবালদের রুদ্ররোষে পড়েছেন। তাকে জেলে ভরে এরপর বার বি কিউ করে রংগভবনের মেজবানে না খাওয়া পর্যন্ত ক্যানিবালদের শান্ত হবার কোন সুযোগ দেখছি না।‘

১৬৭ পঠিত ... ১৭:৫২, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২৩

আরও

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

গল্প

সঙবাদ

সাক্ষাৎকারকি

স্যাটায়ার


Top