১#
কবরের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল পিন্টু। ভয়ে তার বুক ঢিপঢিপ করছে। এমন সময় দেখে, তার পাশে আরও একজন লোক হাঁটছে। পিন্টু স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে বলল, ‘ওহ, ভাই, আপনাকে দেখে কিছুটা সাহস পেলাম। কী যে ভয় করছিল।‘
লোক: কেন? ভয় কীসের?
পিন্টু: কীসের আবার, ভূতের! শুনেছি, এখানে খুব ভূতের উপদ্রব!
লোক: আরে, নাহ! কে বলেছে? আমার মৃত্যুর পর প্রায় ৩০ বছর ধরে এখানে আছি। কই, একটাকেও তো দেখলাম না।
২#
একটা ভূত এক পার্কে গিয়ে সুন্দর দেখে একটা মেয়েকে বলল, ‘এই শোনো তুমি তোমার বয়ফ্রেণ্ডকে ছেড়ে দিয়ে আমার সাথে প্রেম করো।‘
: ওমা তাই কী হয় নাকি? তুমি তো ভূত, তুমি আমায় আদর করবে কী দিয়ে?
: কেন? ভূতে বিশ্বাস করতে পারো আর ওটায় বিশ্বাস করতে পারো না?
৩#
ভূত আছে, ভূত নেই, এই নিয়ে তুমুল বিতর্ক।
একপর্যায়ে এক পক্ষের বক্তা নিজের ডেথ সার্টিফিকেট দেখিয়ে বললেন,
‘এবার কী বলবি বল?’
৪#
: বুঝলে হে, আমি মানুষ নই, ভূ…উ…ত। বিখ্যাত সানাইবাদক টিক্কা খানের নাম শুনেছ? আমি তারই ভূত।
: সেলাম সাহেব, তা আপনার অপমৃত্যু হলো কেন?
: সানাই বাজানো শুরু করার আগে কানে তুলো গুঁজতে ভুলে গিয়েছিলাম, তাতেই হার্ট অ্যাটাক হয়ে গেল।
৫#
: জানিস একটা বাচ্চা আছে মানুষের গল্প শুনলে দারুণ ভয় পায়।
: আশ্চর্য! বাচ্চাটা কার?
: আর কার, একটা ভূতের।
৬#
একজন আমেরিকান পর্যটক গেছেন ইংল্যান্ডে। তাকে একটা পুরোনো দুর্গ ঘুরে ঘুরে দেখাচ্ছেন একজন গাইড। বাড়িটা বেশ পুরোনো, শেওলা-ধরা, দুর্গন্ধযুক্ত, ভেতরে চামচিকা ওড়াউড়ি করছে, বহু জায়গা বেশ অন্ধকার।
গাইড বললেন, ‘কেমন দেখছ দুর্গটাকে?’
পর্যটক বললেন, ‘বেশ গা ছমছম করা! মনে হচ্ছে এটা একটা ভূতের বাড়ি। আচ্ছা কেমন হবে যদি আমাদের সামনে এখন একটা ভূত এসে হাজির হয়!’
গাইড বললেন, ‘আমি এত দিন ধরে এই কাজ করছি। কোনো দিনও তো ভূত আসেনি।‘
পর্যটক বললেন, ‘আপনি কতদিন হলো এই গাইডের কাজ করছেন?’
গাইড: ‘তা প্রায় সাড়ে চার শ বছর তো হবেই!’
৭#
: আমি ভূতে একেবারেই বিশ্বাস করি না। বাজি ধরে একবার এক ভুতুড়ে বাড়িতে গেলাম রাত কাটাতে। বসে থাকতে থাকতে রাত তিনটা বাজলো। অন্ধকার ঘর। হঠাৎ দেখি সামনের দেয়াল ফুঁড়ে আমার দু হাত সামনে একটা ভূত এসে দাড়িয়েছে। আমি তো তাকে দেখে অবাক। ব্যাটা এমনভাবে ঘরে এল যে মনে হল সামনের দশ ইঞ্চি মোটা দেয়ালটাই নেই।
: তারপর ...তারপর তুই কী করলি?
: কী আর করব, ওর হাত থেকে বাঁচতে পেছনের দেয়াল ফুঁড়ে পালালাম।
৮#
: আমি ভূত বিশ্বাস করি না।
: কখন?
: দিনে।
৯#
একদিন রফিক সাহেবের ছেলে এসে বলল, ‘বাবা,আমাদের বাড়িতে নাকি ভূত আছে?’
রফিক সাহেবের বউ: না বাবা,আমাদের বাড়িতে কোন ভূত নেই। কে বলল তোমাকে?
ছেলে: আমাদের কাজের মহিলা।
রফিক সাহেব: বাবা পালাও। আমাদের বাড়িতে কোন কাজের লোক নেই।
একটু পর রফিক সাহেবের মনের পড়ল, আরে, তার না কোন ছেলে নেই! তার একটু পর মনে পড়ল, আরে, তিনি তো বিয়েই করেননি!
১০#
একদিন তিন বন্ধু সাগরে জাহাজে করে ঘুরছিল। এমন সময় হঠাৎ সাগরে ঢেউ উঠল। কোন রকমে তারা তিন জন এক অজানা দ্বীপে এসে পৌঁছল। এমন সময় তারা দেখতে পেল দ্বীপে একটি প্রদীপ পড়ে আছে। তারা প্রদীপটি হাতে নিয়ে ঘঁষতেই প্রদীপ থেকে একটি ভূত বের হয়ে বললো, ‘আমি আপনাদের প্রত্যেকের একটি করে ইচ্ছা পূরণ করব। প্রত্যেকে যার যার ইচ্ছার কথা বলুন।
১ম বন্ধু: আমার সব আত্মীয় ভারত থাকে, তাই আমি সেখানে চলে যেতে চাই। বলার সঙ্গে সঙ্গে সে ভারত চলে গেল।
২য় বন্ধু: আমার সব আত্মীয় বাংলাদেশে থাকে, আমি সেখানে চলে যেতে চাই। বলার সঙ্গে সঙ্গে সে চলে গেল তার দেশে।
এবার ৩য় বন্ধুর পালা। তার ইচ্ছার কথা জানতে চাইলে সে একটু ভেবে উত্তর দিলো,
৩য় বন্ধু: আমার আত্মীয় বলতে কেউ নেই, কেবল ওই ২ বন্ধুই আছে। তাই দয়া করে তাদের আমার কাছে ফিরিয়ে দিন। বলার সঙ্গে সঙ্গে দুই বন্ধু আবার দ্বীপে ফিরে আসলো।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন