লেখা: নাহিদ আশরাফ উদয়
দুপুরে সিক্যুরিটি গার্ড খোরশেদ কল দিলো। ফিস ফিস করে বলতেছে, ‘স্যার, ফেসবুকে কিছু লিখছেননি?
: কেন?
: হেলমেট পিন্দা একজন আপনের খোঁজে আইছে।
: আইছে তো তুমি ফিস ফিস করতাছো কেন?
: হেলমেটের ভিত্রেতে হের চোক্ষু লাল লাগতাছে, গাঞ্জা গুঞ্জা খায়া আসছে মনে অয়। হাতে একটা বিশাল চটের ব্যাগ। নির্ঘাত চাপাতি, রড, ছেনি লইয়া আইছে।
: তোমার কি ওই দুইটা চক্ষু না এক্সরে? এত কিছু দেখলা কীভাবে? কী চায় সে?
: এইগুলা তো জিগাই নাই
: তো জিজ্ঞেস করো।
: একটু সমিস্যা আছে, হেরে দেইখাই আমি গেইট লাগায়া গ্যারেজের সাইডের বাথরুমে ঢুইকা আছি। বাইর হইত্তাম না। বাথরুমের টিনের দরজা চাপাতির কোপে ভাঙবার পারতো না।
এই বান্দারে আমি কোনভাবেই বাথরুম থেকে বের করতে পারলাম না। আরেক গার্ডকে খোঁজ নিতে পাঠালাম।
হেলমেটওয়ালা একজন ডেলিভারি ম্যান।
গত তিন চারটা বাংলাদেশের জার্সি অর্ডার যারা দিয়েছে তারা ডেলিভারি ম্যান দেখলেই দরজা বন্ধ করে দেয়।
যেন তাকে চেনা না যায়, তাই সে কুরিয়ারের পোশাক না পড়ে, সাধারণ পোশাকে নিজের বাইকে করে ডেলিভারি দিচ্ছে।
বাসায় থাকলে আমি এই ডেলিভারিম্যানকে এক কাপ চা খাওয়াতাম। আইডিয়াটা কিন্তু আমার কাছে মন্দ লাগে নাই।
.. অনলাইনে অর্ডার দেওয়ার পর রিসিভ করে না জন্য বান্দা ডেলিভারি দিতে ট্যাক্টিস পাল্টাইছে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমও কি পারে না, ভালো একটা খেলা ‘ডেলিভারি’ দিতে তাদের কৌশল পাল্টাইতে?
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন