শুরু করছি রবীন্দ্রনাথের একটা ফেইক লাইন দিয়ে
যেতে দিতে মন চায়
তবু যেতে চায় না
তবুও থেকে যায়
হে শ্রমবিলাসী মানব,
মাঠে থাকাটাই ছিলো আপনার ধ্যান জ্ঞান। রানে না হলেও ডান-হাতি বাঁ-হাতি বাঁ-হাতি ডান-হাতি কম্বিনেশনের ধারাবাহিকতায় আপনি ছিলেন উজ্জ্বল নক্ষত্র। এই বাংলার জনতা অনেকদিন মনে রাখবে আপনার সাতাশ বলে সাতাশে শ্রমজীবি ইনিংসটি।
ওরে খেলারাম,
যদিও কবি বলে খেলারাম খেলে যা, কিন্তু সময়ের পরে খেলে যেতে পারেনি কোনো বাপের ব্যাটাও। আপনি সেখানে অনন্য, ব্যাটে রানের দারিদ্র্যতা, ফিল্ডিং-এ মাছ না ধরতে পারা জেলেদের বিষন্ন চেহারা নিয়ে খেলে যাচ্ছেন অবিরত।
হে মাটি কামড়ে পড়ে থাকা বালক,
বিদায়ের এই সময় নতুন করে আর কী বলবো! মাটি কামড়ে পড়ে থাকার খেলায় অবসর নিয়ে টি-টুয়েন্টিতে তুমি যেভাবে মাটি কামড়ে থাকো মাটিও হয়তো ব্যথায় চিৎকার করে ওঠে। আর এখানেই সবার চেয়ে তুমি আলাদা।
পরিশেষে রীবন্দ্রনাথের সুরে সুরে বলতে চাই
তোমারে পড়বে মনে
ডান হাতি বা হাতি কম্বিনেশনে
তোমারে পড়বে মনে
সাতাশ বলে সাতাশ
শ্রমজীবি রানে।
হয়তো বা আপনিও বলবেন। কার সুরে আর, রবীন্দ্রনাথের সুরেই…
যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই মাঠে
আমি খাইবো না, আমি খাইবো না মোর পেইনকিলারের ডোজ এই মাঠে গো
যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই মাঠে।
চুকিয়ে দেবো বলের হিসাব
মিটিয়ে দেবো গো, মিটিয়ে দেবো লেনা-দেনা
বন্ধ হবে সমালোচনা এই মাঠে…
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন