ইদানীং সুখী দম্পতি দেখলে মিডিয়া হুমড়ি খেয়ে পড়ে। সাক্ষাৎকার চাই চাই। আজকে ‘রাতের অন্ধকার’ পত্রিকা থেকে আমাদের সাক্ষাৎকার নিতে এসেছে। মুখে নকল হাসি নিয়ে সাংবাদিক আপু প্রশ্ন শুরু করলো।
সাংবাদিক: তা আপনাদের সুখী দাম্পত্য জীবনের রহস্য কী।
আমি: রথিন।
সাংবাদিক: ও হো। আপনাদের বেবি আছে বলেন নি তো। মিডিয়াতে ফেস দেখাতে চান না, তাই না? বেবি আসার পরই আপনার আর পারমিতা বৌদির জীবন সুখে-শান্তিতে ফুলেফেপে উঠেছে, তাই তো?
পারমিতা: আরে ধুর! রথিন ওর বন্ধু।
সাংবাদিক: ও আচ্ছা। বুঝেছি। গট ইট। তা আপনার বন্ধু ঠিক কী করেছিল।
আমি: রথিন ‘না’ না করলে তো পারমিতাকে আমার পাওয়াই হতো না।
সাংবাদিক: ও বুঝেছি মশাই। এই কেইস। পারমিতা বৌদি রথিনকে ভালোবাসতো। প্রপোজ করলে রথিন না করে দিয়েছে। তারপর আপনি খেলাটা খেলে দিলেন। ঠিক না মশাই?
পারমিতা: দুচ্ছাই! রথিনকে আমি ভালোবাসতে যাব কোন দুঃখে।
সাংবাদিক: ও বুঝেছি। রথিন আপনার জাস্টফ্রেন্ড ছিল!
আমি: ও সাংবাদিক আপু, আপনি কোন লাইনে যাচ্ছেন!
সাংবাদিক: না..মানে আপনারা তো কিছু ক্লিয়ার করছেন না।
আমি: বললাম তো আমাদের বিয়েতে সবচেয়ে বড় অবদান রথিনের।
সাংবাদিক: সেটাই জানতে চাচ্ছি মশাই।
আমি: রথিন একেবারে নিখুঁত ভবিষ্যৎবাণী করেছিল। সেখান থেকেই মূলত বিয়ের সিদ্ধান্ত।
পারমিতা: ও তো আমাকে প্রথমে বিয়েই করতে চায় নি।
সাংবাদিক : উফফ!ফাইনালি গট ইট। রথিন ভবিষ্যৎবাণী করলো, এই মেয়েকে বিয়ে কর। অবশ্যই সুখী হবি। তারপর বাজলো বিয়ের বাঁশি। এইতো কেইস। ওকে। ইন্টারভিউ শেষ। মাথা হ্যাং হয়ে গেল!
আমি: উল্টোটা হয়েছিল আপু।
সাংবাদিক: মানে?
আমি: পারমিতাকে কোনভাবেই বিয়ে করব না। এদিকে মা-বাবা মুখ ফুলাই বসে আছে। তাদের খুব পছন্দ। আমার চূড়ান্ত অপছন্দ।
সাংবাদিক: তারপর?
আমি: আমাদের শেষ ভরসা রথিনের কাছে গেলাম। সে খুব কনফিডেন্টলি ভুল বলতে পারে। সে যেটাতে শতভাগ নিশ্চয়তা দেয়, বুঝবেন সেটা অবশ্যই হবে না। কাভি নেহি। এটা একেবারে বিজ্ঞান দ্বারা প্রমাণিত। পারমিতার ছবি দেখেই সে না করল। এই মেয়েকে বিয়ে করলে আমার কপালে শনি আছে। ব্যস। আমি বিয়ে করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম!
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন