‘ইউক্রেনের হয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নিলেই প্রত্যেক যোদ্ধাকে দেওয়া হবে এক লিটার তেল।‘ গতকাল লাইভে এসে এই ঘোষণা দেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।
গতকাল মধ্যরাতে এই ঘোষণা আসার পর থেকে ইউক্রেন সীমান্তে জড়ো হতে শুরু করেছে অসংখ্য বাংলাদেশী। এর মাঝে রয়েছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আমলা, মন্ত্রী ও তেল ব্যবসায়ীরাও।
এর আগে যুদ্ধে যোগ দিতে আসলে ভিসা লাগবে না বলে ঘোষনা ছিলো জেলনস্কি সরকারের পক্ষ থেকে। তখন খুব বেশি মানুষ যাওয়ার আগ্রহ না দেখালেও নতুন ঘোষণার পর বেড়েছে আগ্রহ। এই বিষয়ে হাতে ১৮টা বোতল নিয়ে ইউক্রেন সীমান্তে দাঁড়িয়ে থাকা এক বাংলাদেশি বলেন, ‘এমন ঘোষণার পর আসলে যুদ্ধে যোগ না দিয়ে কোন উপায় নেই। ইউক্রেনের মানুষের জন্য খারাপই লাগছে আসলে। ভাববেন না তেলের জন্য যাচ্ছি। আসলে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে নিজেকে কোনভাবেই আটকে রাখতে পারিনি।’
এদিকে ইউক্রেন সীমান্তে জড়ো হওয়া এক বাংলাদেশী আমলা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ভাবছি যুদ্ধের পুরো সময়টা আমি ইউক্রেনেই থাকব। তেলের একটা সিন্ডিকেট শেখাতে হবে। এত এত তেল এভাবে দেয়া ঠিক হবে না। লোকগুলো আসলে অনেক বোকা। সেজন্যই সিস্টেমেটিক একটা সিন্ডিকেটের গুরুত্ব বুঝতেছে না।’
এদিকে এই ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, এই যোদ্ধাদের তেল যোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন