ল কাছা দে পাপেল: একটি খাঁটি বাংলা রিভিউ

৫৭৭ পঠিত ... ১৯:৩৬, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২১

la-kasa-de-papel-review

হালের আলোচিত সিরিজ (কেন আলোচিত হইলো এইটা কেউ বলতে পারে না) 'মানি হাইস্ট' নিয়া সোশাল মিডিয়ায় খুব মাতামাতি হাতাহাতি চলছে। অনেকেই সিরিজটা দেখবেন বলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, আবার অনেকেই নাক সিঁটকে সিরিজটাকে ফেলে দিচ্ছেন বাতিলের খাতায়৷ কিন্তু বাস্তবতাটা আসলে কী? কী এমন মধু আছে এই মানি হাইস্টের বোতলে? সেটা আপনাকে জানাতেই আমরা নিয়ে এসেছি একদম নিরপেক্ষ, স্পয়লার ফ্রি (মানে ফ্রিতে স্পয়লার দেয়া হইছে) ল কাছা দে পাপেলের একটি খাঁটি বাংলা রিভিউ৷

সিরিজের শুরুতেই দেখা যায়, যে এক লোকের চাকরি নাই। করোনার কারণে চাকরি চলে গেছে ব্যাপারটা এমন না। আগে থেকেই তার চাকরি নাই, পকেটে টাকা পয়সাও নাই। তবে, শুধুমাত্র চশমা পরার কারণে তাকে বলা হয় প্রফেসর। তো এই প্রফেসর আরো কিছু অকম্মা টাইপ লোকজন নিয়া ব্যাংক ডাকাতির প্লান করল। এখন যেহেতু প্রফেসরের চাকরি নাই, সে চিন্তা করলো, শুধু ব্যাংকের টাকা দিয়া তার চলবে না। সে ব্যাংকের ভিত্রে থাকা টাকা ছাপানোর মেশিন দিয়া মন মত টাকা ছাপায়া নিয়াসবে। অবশ্য, টাকা ছাপানোর পরে টাকায় গভর্নরের সই কেডা করবে এইটা নিয়া তার কোনো মাথা ব্যথা দেখা যায়নাই৷

সিরিজের মাঝখানে হুট হাট দেখা যায়, প্রফেসর ওই ভাদাইম্মাগুলার ক্লাস নিচ্ছে। অনেকটা এ্যাডমিশনের কোচিংয়ের মত। এইখানে মূলত প্রফেসর তার নামকরণের স্বার্থকতা হাসিল করার আপ্রাণ চেষ্টা চালায়।

তো, স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী সে তার ভাদাইম্মা ফ্রেন্ডদের ব্যাংকের ভিত্রে ঢুকায়া দেয় আর বাইরে বইসা মজা নেয়া শুরু করে৷ এদিকে ব্যাংকে ডাকাত পড়ছে শুইনাই পুলিশ চইলা আসে। আইসা ব্যাংকের সামনে তাবু খাটায়া তারা উইন্টার ক্যাম্পিং শুরু করে দেয়। তাবুর মধ্যে পুলিশরা যে কী করে তা এরা নিজেরাও ঠিকঠাক জানে না৷ ফাইনালি, পুলিশগুলার কাছে ইজরায়েলি সার্ভেইলেন্স যন্ত্রপাতি না থাকায় এরা বারবার ব্যর্থ হয়৷ এইটা দেখে মনটা খারাপ হয়া যায়।

মজার ব্যাপার হইলো, পকেটে টাকা না থাকলেও প্রফেসরের কাছে ইজরায়েলি সার্ভেইলেন্স যন্ত্র ও অবৈধ ভিওআইপি মেশিনপত্র আছে। সেইসব মেশিন দিয়া সে ঘটনার তদন্তকারী নারী কর্মকর্তার লগে ফোনে প্রেম শুরু করে দেয়। সেকি প্রেম! ঠিক এই পয়েন্টে, ক্রাইম থ্রিলার হয়া গেলো রোমান্টিক জনরা।

ওদিকে প্রফেসরের বোজম ফ্রেন্ডগুলাও ব্যাংকের ভিত্রে কী করবে বুঝতে না পেরে অহেতুক প্রেম, মারামারি ইত্যাদি শুরু করে দেয়৷ একদম টান টান উত্তেজনা। প্রতিমুহূর্তে মনে হয়, এরপর কী হবে! এরপর কি নাচ, নাকি গান? নাকি অ্যাকশান? নাকি প্রেম? নাকি কেউ মরে গিয়ে ইমোশনাল করে দিবে? অবশ্য যারা হিন্দি সিরিয়াল দেখে অভ্যস্ত, তাদের কাছে নতুন কিছু নাও মনে হতে পারে।

থাক, আর বলবো না। এমনিতেই এই সিরিজের আকর্ষণ কমতে কমতে সিজন ফাইভে তলানিতে চলে গেছে, এর বেশি রিভিউ দিলে তো আর কোনো আকর্ষণই থাকবে না। বাকিটা দেখে নিবেন নিজেই।

হাতে নষ্ট করার মতো অনেক সময় থাকলে তবে পপকর্ন নিয়ে বসে পড়ুন আর দেখে ফেলুন স্প্যানিশ ভাষার হিন্দি সিরিয়াল- 'কাহানি মানি হেইস্ট কি'।

৫৭৭ পঠিত ... ১৯:৩৬, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২১

আরও

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

গল্প

সঙবাদ

সাক্ষাৎকারকি

স্যাটায়ার


Top