রবীন্দ্রনাথ ও তেহরানী মেয়ের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট

১৭৯৮ পঠিত ... ০২:৫২, অক্টোবর ২০, ২০১৮

তেহরানের একটা মেয়ের ফ্রেন্ড সাজেশন ফেসবুকে দেখতে পেলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কী দারুণ দেখতে! বাদামী চুল... বোধহয় ডাই করেছে! কাটা নাক, বাঁকা হাসি... চোখ দেখা যাচ্ছে না অবশ্য। সানগ্লাসে ঢাকা। তা চোখ নিশ্চয় হরিণ চোখই হবে। রবি গুনগুনালেন, আমি চিনি গো চিনি তোমারে ও গো বিদেশিনী...

গাইতে গাইতেই ভাবলেন, নজরুল ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানোর আগেই আমরা বন্ধু হয়ে যাই। বন্ধু হয়ে কাজীর নামে কান ভারী করে ফেলব। বলব, ও ব্যাটা তলোয়ার দিয়ে দাড়ি চাঁছে!

যে ভাবা সে কাজ!

রবি ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে দিলেন। ইনবক্সে ছোট্ট করে লিখলেন, আমার পরাণ যাহা চায়, তুমি তাই তুমি তাই গো...

লিখেই অবশ্য তাড়াতাড়ি মুছে ফেললেন লেখাটা। সজনীকান্তের কোনো ভরসা নেই। সে যদি একবার এ খবর পায়, তাহলে তা শুধু শনিবারের চিঠিতে না, প্রত্যেকবারের চিঠিতেই ছাপিয়ে ছাপিয়ে জোড়াসাঁকো কাঁপিয়ে দেবে।

থাক...

তারচেয়ে ভালো মেয়ের প্রোফাইল দেখে আসা যাক! প্রোফাইলে ঢুকে তব্দা মেরে গেলেন রবি। মেয়ের সব স্ট্যাটাস আরবি-ফারসি কি হিব্রুতে লেখা। রবি হতাশ! যদি তোর ভাষা শুনে না বুঝি তবে করব এবার কী? করব এবার করব এবার করব এবার কী? 

রবি ব্যর্থ মনোরথে মেয়েটির প্রোফাইল থেকে বেরিয়ে এলেন। শ্বাস ভারী হয়ে আসছে তার। মনে গানের একটা লাইনেরও জন্ম হয়ে গেল সাথে সাথেই--তোমার ভাষা বোঝার আশা দিয়েছি জলাঞ্জলি... 

এমন সময় নোটিফিকেশন এলো, মেয়েটি রবির ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করেছে। আর নোটিফিকেশনের সাথে সাথেই ম্যাসেঞ্জারে এল ম্যাসেজ। রবি কাঁপা হাতে ম্যাসেঞ্জার ওপেন করলেন। মেয়েটি স্পষ্ট বাংলায় লিখেছে--আমার সংকলের নাম সঞ্চিতা রাখছি গুরুদেব। সঞ্চয়িতার পর এটা একটা হিট জিনিস হবে, কী বলেন? 

রবীন্দ্রনাথ এরপর আর কখনোই ফেসবুক ব্যবহার করেন নি। ওনার নামে যে পেজগুলো আছে ফেসবুকে ওগুলো আসলে ফেক।

১৭৯৮ পঠিত ... ০২:৫২, অক্টোবর ২০, ২০১৮

আরও

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

গল্প

সঙবাদ

সাক্ষাৎকারকি

স্যাটায়ার


Top